Personal Attacks
কলকাতা: রাজভবনের সামনে টানা ৫ দিন ধর্না করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রের বিরোধিতায় শুরু হওয়া এই ধর্না মঞ্চে দলের প্রায় সকলকেই দেখা গিয়েছে, তারা বক্তব্যও রেখেছেন, যা স্বাভাবিক। কিন্তু যেটা স্বাভাবিক নয় তা হল, বিজেপির কোনও নেত্রীর সেই মঞ্চে হাজির হয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান তোলা বা তৃণমূলের নাম ‘জিন্দাবাদ’ বলা। সেটাই অবশ্য করেছেন অভিনেত্রী রিমঝিম মিত্র। খাতায়-কলমে তিনি বিজেপি নেত্রী হলেও তৃণমূলের ধর্না মঞ্চে হাজির ছিলেন এবং বিজেপিরই বিরুদ্ধে তাঁকে মন্তব্য করতে শোনা যায়।
তৃণমূলের ধর্নার চতুর্থ দিন মঞ্চ উপস্থিত হন রিমঝিম মিত্র। তিনি সেই মঞ্চ থেকেই বলেন, কোনও রাজনৈতিক মঞ্চে তিনি আসেননি। আপনি যেই দলের সদস্য হোন না কেন, গরিব মানুষের টাকা আটকে রাখার ইস্যুতে কথা না বলতে পারলে নিজেকে মানুষ ভাবা উচিত নয়। তিনি এই ইস্যুতেই এই মঞ্চে এসেছেন। এরপরই বিজেপির বিরুদ্ধে কার্যত বিস্ফোরণ ঘটান তিনি। অভিনেত্রীর দাবি, বিজেপি নিজেও কী জানে যে ওদের দলে আর কে আছে আর কে নেই? বাংলার বিজেপি কার নেতৃত্বে কাজ করবে, সেটা নিয়েই তারা ব্যস্ত। বিজেপির এজেন্ডা এখনও ক্লিয়ার নেই। রিমঝিম এও দাবি করেন, তিনি যখন সক্রিয়ভাবে বিজেপি করছেন তখনও অনেক নেতা জানতেন না যে তিনি দলে আছেন। বিজেপি তাঁকে বা তাঁর মতো আরও অনেককে স্বীকৃতি দেয়নি বলে অভিযোগ তাঁর।
এরপরই কার্যত সবথেকে বড় বোমা ফাটান অভিনেত্রী। দাবি করেন, বিজেপির শীর্ষ নেতারা তাঁদের নির্দেশ দিতেন, রাজনৈতিক বিষয়ে যাওয়ার দরকার নেই শুধু ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করতেই তাঁদের বলা হত। অভিনেত্রীর কথায়, এটা কোনও রাজনৈতিক দলের লাইন হতে পারে না। তাঁর মতো অনেকেই এই বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। এতকিছুর পর একটা প্রশ্নই এখন সবার মনে। তাহলে কি তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন রিমঝিম?