দিনহাটা: করোনা প্রাদুর্ভাবের জেরে লকডাউনের মধ্যে কেউ যেন অনাহারে না থাকে, তার জন্য শুরুতেই রাজ্যবাসীর জন্য বিনামূল্যে ছ’মাসের রেশনের সুবিধা করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ পাশাপাশি ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সব স্কুলে ছুটি ঘোষণা হলেও নিয়মমাফিক মিড-ডে মিলের পরিবর্তে পড়ুয়াদের চাল ও আলু দেওয়ার ব্যবস্থা করতে স্কুলগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার৷ খাদ্য বণ্টন নিয়ে জেলা শাসকদের যথার্থ পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হলেও প্রথম থেকেই সমস্যা থেকে গেছে৷ এবার মিড ডে মিলের চাল, আলু বিতরণ নিয়ে চরম অসন্তোষ দেখা দিল দিনহাটা ২ নং ব্লকে৷
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো করোনা মহামারীতে প্রাথমিক থেকে উচ্চপ্রাথমিক স্কুলগুলিতে সোমবার থেকে প্রত্যেক পড়ুয়াকে ৩ কেজি চাল ও ৩ কেজি করে আলু বিতরণের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু শুরুতেই এই বণ্টন নিয়ে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হল শিক্ষক মহল থেকে শুরু করে অভিভাবকদের মধ্যেও৷ অভিযোগ, চাহিদা অনুসারে চাল আলু এখনও পর্যন্ত অধিকাংশ স্কুলগুলিতে পৌঁছোয়নি৷ দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জানিয়েছেন, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আলু এসে পৌঁছয়নি স্কুলে৷ তাই চাল আলু অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি৷ ফলে খালি হাতেই ফিরে যেতে হয়েছে তাঁদের৷
অন্যদিকে অপর এক শিক্ষক জানিয়েছেন, নির্দেশ মতো সকাল আটটা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটে পর্যন্ত অপেক্ষা করেও চাল আলু কিছুই এসে পৌঁছোয়নি স্কুলে৷ পরে চালের গাড়ির চালকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার চাল পৌঁছবে৷ তবে আলুর গাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলেই জানিয়েছেন তিনি৷ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় বিডিও৷ আর এই নিয়ে তৈরি হয়েছে অসন্তোষ৷