যৌন চক্র নাকি মাদক কারবার চক্র? যে খপ্পরে পড়েছিলেন তিলোত্তমা! হাসপাতালের আড়ালে দেখুন কী চলে | RG Kar Medical College Student Death

Rg kar RG Kar Medical College Deathকি জেনে ফেলেছিলেন তিলোত্তমা? (RG Kar Medical College Death) কলকাতা: হাসপাতালের আড়ালে কি চলে আরজি করে? এমন কি জেনে…

RG Kar Medical College Death

Rg kar RG Kar Medical College Deathকি জেনে ফেলেছিলেন তিলোত্তমা? (RG Kar Medical College Death)

কলকাতা: হাসপাতালের আড়ালে কি চলে আরজি করে? এমন কি জেনে ফেলেছিলেন তিলোত্তমা? জানেন, আরজি কর হাসপাতালে কিভাবে চলে যৌন চক্র? ২০০১ সালে সৌমিত্র বিশ্বাসের মৃত্যু, কাট টু ২০২৪!মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর সঙ্গে বড় মিল?আরজিকরের ভেতরের লোকজন, পুরনো হিস্ট্রি; সামনে আনছে ভয়ানক তথ্য!

আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ যারা দেখেছেন তারা জানেন এটা নারকীয় অত্যাচারের জ্বলন্ত উদাহরণ। যে নারকীয় অত্যাচার করে হত্যা করা হয়েছে, তীব্র রাগ না থাকলে সেটা অসম্ভব বলছেন তাঁরই সহপাঠীরা। এখন প্রশ্ন হল এই রাগের কারণ কী?

RG Kar Medical College Student Death

কোনটা কাল হল (Mysterious Circumstances Surrounding the Student’s Death)

জাল ওষুধ হাসপাতালে ঢুকছে আর দিনের পর দিন নির্দ্বিধায় সেটাই ব্যবহার হচ্ছে জেনে ফেলা? মেডিক্যাল বর্জ্য থেকে সিরিঞ্জ, রক্তের পাউচ-সহ নানা জিনিস বিক্রির কালোবাজারি ধরে ফেলা? নাকি সেই মেডিক্যাল বর্জ্য থেকেই রাসায়নিক আলাদা করে মাদক কারবারে কাজে লাগানোর চক্র চলছে জেনে ফেলা?

কিংবা আরজি করের ভেতরে চলা যৌন চক্রের একেবারে গোঁড়ায় চলে যাওয়া! হয়তো বা হাসপাতালের হস্টেল, ক্লাসরুমে যৌন-চক্রের প্রতিবাদ করা? না কি হাসপাতালের হস্টেল, ক্লাসরুমে যৌন-চক্রের প্রতিবাদ করা? না কি হাসপাতালের হস্টেল, ক্লাসরুমে যৌন-চক্রের প্রতিবাদ করা? না কি হাসপাতালের হস্টেল, ক্লাসরুমে যৌন-চক্রের প্রতিবাদ করা? ঠিক কোনটা কাল হল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিহত চিকিৎসকের? ঘটনার দু মাস পার। কিন্তু এই প্রশ্নটা এখনও তুলছেন ওই হাসপাতালের সঙ্গে যুক্তদের অনেকেই। আতঙ্ক এখনো পিছু ছাড়ছে না।

Mysterious Circumstances Surrounding the Student's Death

আর ঠিক এই প্রসঙ্গে উঠে আসছে একজন পড়ুয়ার নাম। সৌমিত্র বিশ্বাস। সেই অভিশপ্ত আগস্টে শেষ হয়ে গিয়েছিল তরতাজা প্রাণ। সাল ২০০১, তখন অবশ্য বাম জমানা। আরজি করের হস্টেল থেকে চিকিৎসক পড়ুয়া সৌমিত্রের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল ২৫ অগস্ট। চিকিৎসকদের দাবি, তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখে আত্মহত্যা ধরে নিয়ে তদন্ত চালায় পুলিশ। কিন্তু সৌমিত্রের পরিবার খুনের অভিযোগ দায়ের করে। কলকাতা হাই কোর্ট সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, এই মামলায় বেশ কয়েকটি দিক খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। চিকিৎসকদের দাবি, মূল দিকটাই ছিল হাসপাতালের মধ্যে যৌন-চক্র।

বিভিন্ন মাধ্যমে উঠে এসেছিল এমন তথ্যও, যে ওই বাম জমানায় হাসপাতাল জুড়ে চলতো সেক্স র‍্যাকেট, সঙ্গে পর্নোগ্রাফি তৈরির নোংরা চক্রান্ত। মেধাবী, সৎ সৌমিত্র এই চক্রের কথা জেনে ফেলেছিল। হাত মেলাতে চায়নি। প্রতিবাদ করেছিল। আর হয়তো সেই কারণেই সৌমিত্রকে প্রতিবাদের চরম মূল্য চোকাতে হয়েছিল।

কর্তৃপক্ষ সব জানত (College Administration’s Response to the Incident)

তাহলে কি তেমনটাই ঘটলো আরজি করে নির্যাতিতা মহিলা চিকিৎসকের সঙ্গেও?সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত অলরেডি এক চিকিৎসক দাবি করেছেন, সৌমিত্রর সেই ঘটনার সময়ে তিনি আরজি করের ছাত্র। তাঁরা জানতেন সৌমিত্রের মৃত্যু শুধু আত্মহত্যা নয়। হাসপাতালের ক্লাস ঘর, সেমিনার রুম বা হস্টেলে সেই সময়ে যৌনকর্মী নিয়ে আসা হত। যৌনকর্মীদের দিয়ে ভিডিয়ো শুট করানো হত। এর পর সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়ার বড় চক্র চলত। তৎকালীন হাসপাতালের কর্তারা সবই জানতেন। এমনও হত, যৌনকর্মী জোগাড় করতে না পারায়, ব্যবচ্ছেদের জন্য রাখা মৃতদেহের সঙ্গেই যৌনতা চলছে। সেই ভিডিওয় মৃত মানুষের মুখের জায়গায় বসানো হত কোনও অভিনেত্রীর মুখ। এর পর ছড়িয়ে দেওয়া হত সেই ভিডিয়ো। কর্তৃপক্ষ সব জানত।

College Administration's Response to the Incident
আরজি কর

আর এক চিকিৎসকের দাবি, “মেডিক্যাল কলেজে পড়তে আসা মেয়েদের মুখের ছবি কেটে নিয়ে বসানো হত ভিডিয়োর যৌনকর্মীর মুখে। সৌমিত্রের এক বান্ধবীর সঙ্গেও এমন ঘটে। তাঁর জন্মদিনের কেক কাটার ছবি থেকে মুখ কেটে নিয়ে বসানো হয়েছিল একটি ভিডিয়োয়। সৌমিত্র প্রতিবাদ করলে কত রকম ভাবে যে ওকে শেষ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে, বলে বোঝানোর নয়। শেষ পর্যন্ত সৌমিত্র আত্মহত্যা করেছিলেন না কি তাঁকে খুন করা হয়েছিল, স্পষ্ট নয়।”

দেখা দরকার.. (Student Community Demands Justice)

চিকিৎসকদের অনেকেরই প্রশ্ন, এই তরুণীও এমনই কোনও চক্রের খপ্পরে পড়েছিলেন কি? হাসপাতালে আন্দোলনরত কেউ কেউ বলছেন, সন্দেহ হওয়ার মতো প্রচুর ঘটনা রয়েছে যা এই মুহূর্তে সামনে আসছে না। এক চিকিৎসকের দাবি, “সৌমিত্রের ঘটনার পরও হাসপাতালে এমন ভিডিয়ো তৈরি বা যৌন-চক্র চালানো বন্ধ হয়নি। বহু ছাত্রছাত্রী কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। এই তরুণীও তেমনি কোনও ভিডিয়োর শিকার হয়েছিলেন কি না, দেখা দরকার।”

Student Community Demands Justice

শুধু তাই নয়। সূত্রের খবর, সম্প্রতি আরজি করেই মেডিক্যাল বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ নিয়ে একটি টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। সেই টেন্ডার পেয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে এক ‘অত্যন্ত প্রভাবশালীর ঘনিষ্ঠ’। তবে টেন্ডারের শর্ত অনুযায়ী, ব্যবহার হওয়া সিরিঞ্জ, রক্তের পাউচ বা অল্প কাজে লাগা কোনও অন্য সামগ্রী, আদতে যেখানে যাওয়ার কথা, সেখানে তার বেশির ভাগটাই যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। তা হলে যাচ্ছে কোথায়?

তাছাড়া হাসপাতালে শিশুদের জরুরি পরিস্থিতিতে দেওয়া দামী ইঞ্জেকশনের কালোবাজারির অভিযোগও উঠে আসছে। কর্তৃপক্ষের সমস্তটাই নাকি জানা। অভিযোগ, ওই ইঞ্জেকশন নকল বলে রিপোর্ট এলেও কিছুই করা হচ্ছিল না। তরুণী কি তাহলে এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন? ঘুরছে প্রশ্ন।

আরজি করের ভেতরে চলা কোন কারসাজি কেড়ে নিল আরেকটা প্রাণ? মৃত্যুর নেপথ্যে কী? কোন কারণ? আদৌ কী মিলবে উত্তর? সামনে আসবে ভয়ানক সত্যি?

আরও পড়ুন..

পরে অনশনে বসলেও কেন রিস্কে অনিকেত মাহাতো? যা বলছেন চিকিৎসকরা 

BengalRG Kar Medical College Death : Uncover the truth behind the shocking death of an RG Kar Medical College student. Investigating the circumstances surrounding the tragic event.