সন্দীপ ঘোষের ভয়ঙ্কর রুপ, গায়ে কাঁটা দেবে! রুপান্তরকামীদের সঙ্গে যা যা করতেন…

Sandeep Ghosh scandal কলকাতা: আরজিকর কাণ্ডে অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের সঙ্গে রিলেশনশিপে ছিলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ? সন্দীপ ঘোষের আরেকটা রুপ ভয়ঙ্কর! শুনলে গায়ে…

Sandeep Ghosh scandal Sandeep Ghosh

Sandeep Ghosh scandal

কলকাতা: আরজিকর কাণ্ডে অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের সঙ্গে রিলেশনশিপে ছিলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ? সন্দীপ ঘোষের আরেকটা রুপ ভয়ঙ্কর! শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে। উভকামী ছিলেন নাকি? রুপান্তরকামীদের সঙ্গে যা করতেন, তার সাথে আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে ঘটে যাওয়া পৈশাচিক নির্যাতনের বড় মিল?

দুর্নীতি একরকম। গুণধর সন্দীপ ঘোষের চরিত্র যেন বাঁধিয়ে রাখার মতো। না, মনগড়া কথা নয়। তদন্তে যা উঠে আসছে এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে উঠে আসা তথ্য যা ইঙ্গিত দিচ্ছে, তাতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ রীতিমতো হতবাক। হাসপাতালের একজন অধ্যক্ষের এমন রুপ? অলরেডি, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের ল্যাপটপ হাতে পেয়েছেন ED আধিকারিকরা। আর সন্দীপ ঘোষের এই ল্যাপটপে একাধিক নগ্ন পুরুষের ছবি পাওয়া গেছে! তাতেই প্রশ্ন উঠেছিল, তবে কি সন্দীপ ঘোষ উভকামী?

কারণ আগেই ২০১৭ সালের হংকংয়ের একটা ঘটনা সামনে এসেছে। যেখানে সন্দীপ ঘোষ হংকংয়ের কুইন এলিজাবেথ হসপিটালের এক মেল নার্সের শ্লীলতাহানি করেছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু এবার সামনে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযোগ, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অর্থোপেডিক বিভাগের দায়িত্বে থাকাকালীন সন্দীপ ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে একাধিক রূপান্তরকামীর নম্বর জোগাড় করতেন। তারপর সেই রূপান্তরকামীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা করতেন ‘ডাক্তারবাবু’। সন্দীপের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটির প্রথম সারির এক যোদ্ধার। পেশায় নেতৃশিল্পী কাজী আলি আফতাব যে অভিযোগ এনেছেন চিকিৎসক সন্দীপের বিরুদ্ধে, তা কিন্তু সাঙ্ঘাতিক।

Sandeep Ghosh

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, কাজী আলি আফতাব কোনোরকম রাখঢাক না করেই বলেছেন সন্দীপ ঘোষ ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটিকে মোটেও সম্মান করতেন না। তিনি একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করতেন। তারপর তাঁদের উপর নির্যাতন করতেন। তাঁর জানা তিনজন রূপান্তরকামীর সঙ্গে সন্দীপ যৌন সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন। এমনকী, চরম মুহূর্তে তাঁদের সঙ্গে পৈশাচিক, নৃশংস আচরণও করতেন। সেই সময় সন্দীপের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করতে ভয় পেয়েছিলেন অত্যাচারিতরা। কারণ, তিনি খুব প্রভাবশালী। তাছাড়া থার্ড জেন্ডার কেউ যদি বলেন, তিনি ধর্ষিত হয়েছেন সেটা এই সমাজে কেউ বিশ্বাসই করবে না।

তাঁর আরও অভিযোগ, বহরমপুরে থাকাকালীন অনেকের সঙ্গে অসভ্যতা করেছেন বলেও সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। মেডিক্যাল কলেজে চাকরি করার সুবাদে তিনি ফেসবুক থেকে ট্রান্সজেন্ডারদের নম্বর জোগাড় করে তাঁদের ফোন করতেন। কোয়ার্টারে ডাকতেন। সেখানে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতেন। সবথেকে মারাত্মক বিষয়, যা অভিযোগকারীর কথায় উঠে এসেছে। সন্দীপ ঘোষের যৌনতা ছিল বিকৃত প্রকৃতির। কামড়ানো, আঁচড়ানো, খামচে রক্ত বের করে দেওয়া, রাতভর নির্যাতন করতেন। কোনও রূপান্তরকামী একবার তাঁর কাছে গেলে দ্বিতীয়বার ভয়ে যেতেন না।

এক্ষেত্রে অনেকেই আরজি কর কাণ্ডে অন ডিউটি মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ খুনের ঘটনায় যেভাবে অত্যাচারের বিষয়টা এখনও পর্যন্ত সামনে উঠে এসেছে সেটাও যথেষ্ট নৃশংস। কামড়, আঁচড় থেকে চুলের ক্লিপ দিয়ে যৌনাঙ্গে আঘাত! এগুলোর সাথে সন্দীপ ঘোষের উগ্র যৌনতার মিল পাওয়া যাচ্ছে, বলে মনে করছেন অনেকেই। বিষয়টা নিয়ে যথেষ্ট কনসার্ন  ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটির প্রথম সারির ওই যোদ্ধাও। তিনি বলেছেন, ‘আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত করছে। সেই তদন্তে সন্দীপের এহেন আচরণকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে আমি আশা করছি।’

না, এখানেই শেষ নয়। কিভাবে নিজের মোহোয় জড়াতেন তাঁর শিকারকে? তাও জানিয়েছেন আফতাব। সন্দীপের এই নয়া কুকীর্তি ফাঁস করতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ফেসবুক প্রোফাইলে ভালো ছবি দিয়ে বিভিন্ন সমকামীদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতেন সন্দীপ। কেউ অ্যাকসেপ্ট করলেই তাঁর সঙ্গে মেসেজে আলাপ জমাতেন। তারপর নম্বর বিনিময় করে সরাসরি কু-প্রস্তাব দিতেন। অনেকেই তাঁর প্রস্তাবে সাড়া দিতেন না। তাই পদ্ধতি বদল করে শুধু দেখা করার জন্য অনেককে ডেকে পাঠাতেন। কখনও নিজের ফ্ল্যাটে। আবার কখনও হোটেলে তাঁদের ডাকা হতো। এভাবেই পরপর তিনজনের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন বলে অভিযোগ আফতাবের।

আর সন্দীপের এই কীর্তি কেলেঙ্কারির কথা ফাঁস হতেই খুব স্বাভাবিকভাবেই যে প্রশ্নটা উঠে আসছে, হাসপাতালের অধ্যক্ষেরই যদি এমন ভয়ঙ্কর রুপ হয়, তাহলে কি করে নিরাপদ থাকতে পারে চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্সিং স্টাফরা?

পাশাপাশি অনেকেই বলছেন ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটির প্রথম শ্রেণির যোদ্ধা কাজী আলি আফতাব যা আশঙ্কা করেছেন সেটাও তো উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তিলোত্তমার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়রের সঙ্গে কি সম্পর্কে ছিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ? যুক্তিও দিয়েছেন আফতাব।‌ তাঁর প্রশ্ন, “নয়ত অভিযুক্ত সব দোষ নিজের মাথায় নিয়ে নিচ্ছে! এমনি-এমনি তো কেউ নিজের মাথায় দোষ নেবে না। আর ওঁর যেমন স্বভাব, উনি এমন সম্পর্কে লিপ্ত থাকবেন না এর কোনও গ্যারান্টি নেই।” এখানে মনে করিয়ে দিই কলকাতা পুলিশের হাতে অভিযুক্ত সিভিক সঞ্জয় রায় যখনীগ্রেফতার হয়েছিলেন, সেই সময় প্রথমেই তিনি পুলিশের কাছে ফাঁসির আবেদন করেছিলেন। দোষ স্বীকার করে বলেছিলেন, “আমায় ফাঁসি দিন…” তাহলে কী আফতাব এর আশঙ্কাই সত্যি? সত্যিই সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন সঞ্জয়? জল্পনা ক্রমেই বাড়ছে।

আরও পড়ুন

আরজি কর-কাণ্ডে এ বার মিনাক্ষীকে CBI তলব, আজই সিজিওতে যাচ্ছেন যুবনেত্রী CBI Summons Minakshi Mukherjee

RG Kar: অরিজিৎ বলেই অ্যান্থেম? ‘আর কবে’ এখানেই আলাদা | RG Kar Anthem ‘Aar Kobe’

বৃহস্পতিবার কেমন থাকতে পারে NIFTY ও BANK NIFTY-র অবস্থা?

পরিকল্পিতভাবে বাংলাকে ডোবাল ডিভিসি, ‘ম্যান মেড বন্যা’! Man-made flood