কলকাতা: ভোটে জিততে ১ কোটি টাকার ‘ইনাম’ ঘোষণা করে চূড়ান্ত বিপাকে পড়লেন তৃণমূল নেতা৷ আসানসোলের মেয়রের নামে এবার শোকজ পাঠাল নির্বাচন কমিশন৷ এছাড়াও, অনুব্রত মণ্ডল ও রবীন্দ্রনাথ ঘোষকেও জেলা শাসকের মাধ্যমে শোকজ করা হয়েছে বলে খবর৷ আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের জবাব চেয়ে পাঠানো হয়েছে৷
বুধবার সকালে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে তৃণমূলের চার নেতার বিরুদ্ধের নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় বিজেপি৷ বুধবার কমিশনে গিয়ে আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি, অনুব্রত মণ্ডল, ফিরহাদ হাকিম, রবীন্দ্রনাথ ঘোষের নামে নালিশ জানিয়ে আসেন বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল৷
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মিসভা থেকে আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘মন দিয়ে শুনুন। ওয়ার্ডে পাঁচ হাজার ভোট লিড দিতে পারলেই এক কোটির কাজ দেওয়া হবে। তিন হাজার ভোট লিড দিতে পারলে ৫০ লক্ষ টাকার কাজ দেওয়া হবে ওয়ার্ডে। আর দু-হাজার লিড দিলে ৩০ লক্ষ টাকার কাজ। আর সামান্য হলেও লিড দিতে পারলে ১০ হাজার টাকার কাজ দেব৷’’ এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে মেয়রের নামে নালিশ ঠুকে আসেন বিজেপির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা৷
এছাড়াও কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ নিয়ে ফিরহাদ হাকিম, রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মন্তব্যও কমিশনের কাছে জানানো হয় বিজেপির তরফে৷ একই সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের নামেও অভিযোগ জানিয়ে আসেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার৷ বলেন, ‘‘আমরা আজ চার তৃণমূল নেতার নামে অভিযোগ জানিয়ে এসেছি৷ কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়ে এসেছি৷’’
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে মন্তব্য করায় পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন সিপিএম নেতা রবীন দেব৷ আজ, একই অভিযোগ তোলে বিজেপি৷ সেই অভিযোগ নিয়ে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে নির্বাচন কমিশন৷ পুরমন্ত্রী যা বলেছেন, তাতে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখবে কমিশন। একইভাবে বিজেপি’র এক নেতার মন্তব্য খতিয়ে দেখছে কমিশন। নেতাদের এইসব মন্তব্য আদর্শ আচরণবিধি ভাঙছে কি না, বিচার করছে নির্বাচন কমিশন৷