কলকাতা: রোগের নাম করোনা৷ এক ভাইরাসের আতঙ্কে জেরবার গোটা বিশ্ব৷ চলছে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের প্রতিযোগিতা৷ কিন্তু যতদিন তা বাজারে না আসে, ততদিন সতর্ক থাকতেই হবে৷ এবার করোনাকে ঠেকাতে নতুন চেহারায় ফিরে আসছে প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি৷ প্রায় ৫ হাজার বছরের প্রাচীন হঠযোগবিদ্যা ‘ধৌতি’ বা নাক রিষ্কার রাখার পদ্ধতি ‘নেজাল ওয়াশ’ কার্যত নতুন নামে ফিরে এসেছে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে!
প্রাচীন পদ্ধতি প্রয়োগে সন্তোষজনক রিপোর্ট মিলিছে বলে খবর৷প্রাচীন পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে অন্তত তিনবেলা নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে যদি করোনা রোগীদের নাক পরিষ্কার করে দেখা হচ্ছে, ওই রোগীর ‘ভাইরাল লোড’ বা ভাইরাসের সংখ্যা কমেছে কি না৷ ইতিমধ্যে স্প্রে করার মেশিনের মাধ্যমে ৩ শতাংশ স্যালাইনজল দেওয়া হচ্ছে করোনা রোগীদের৷ স্প্রে করে নাসাছিদ্র দিয়ে স্যালাইনজল ঢোকানো হচ্ছে৷ আর অন্য নাক দিয়ে তা বের করা হচ্ছে৷
প্রাচীন যোগবিদ্যায় অনুরূপ এই প্রক্রিয়াটি নাম ‘নাসাধৌতি’ বা ‘জলনেতী’৷ হঠযোগী মৎস্যেন্দ্রনাথ নাসাধৌতিরও প্রবর্তন করেন৷ এম আর বাঙ্গুর হাসপাতাল সূত্রে খবর, বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্রের সূত্র ধরে করোনা রোগীদের এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে৷ দিনে তিনবার ‘নেজাল ওয়াশ’ করা হচ্ছে রোগীদের৷ বিশ্বাস, ফলাফল খুব ভালো হবে৷
চেন্নাইয়ের করোনা হাসপাতালেও এই পদ্ধতির প্রয়োগ হচ্ছে বলে খবর৷ শ্বাসপ্রশ্বাসের জায়গা নাসাপথ পরিষ্কার কর হচ্ছে৷ ‘সূত্রনেতী’ ও ‘জলনেতী’ নামে দু’ধরনের ‘নেতী’র অভ্যাস চলছে৷ এই পদ্ধতিতে একদিকের নাসারন্ধ্রে জল দিয়ে অন্যদিকের নাসারন্ধ্র দিয়ে বের করা হয়ে থাকে৷ যদিও সঠিক গুরু বা যোগবিশারদের তত্ত্বাবধানেই এর অভ্যাস করা জরুরি৷ এম আর বাঙ্গুরের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ১০ দিন হল শুরু হয়েছে এই সমীক্ষা৷ ৩০ জন মৃদু ও মাঝারি উপসর্গ রোগীর উপর ‘নেজাল ওয়াশ’ প্রয়োগ করা হচ্ছে৷ অন্য ৩০ জনের করা হচ্ছে না৷ এভাবে তুলনামূলক বিচার চলছে৷