নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝড়খালি: সুন্দরবনের কলস জঙ্গলে খাঁচায় বন্দী রয়েল বেঙ্গল টাইগারকে ছেড়ে দিল্রেন বন দফতরের বনকর্মীরা। মঙ্গলবার গভীর রাতে সুন্দরবনের আজমলমারি ১২ নম্বর জঙ্গলে বন দফতরের বনকর্মীরা তিনটি খাঁচা পাতেন ছাগলের টোপ দিয়ে। সেই পাতা খাঁচায় বন্দী হয় পূর্ণবয়স্ক রয়েল বেঙ্গল টাইগার। বাঘ ধরা পড়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে মৈপিঠের ৬ নম্বর বৈকন্ঠপুরের এলাকার মানুষজন।
রাতেই বাঘটিকে ঝড়খালির ব্যাঘ্র পুনর্বাসন প্রকল্পে নিয়ে যাওয়া হয। সেখানে চিকিৎসকরা সারা দিন বাঘের পরীক্ষা নিরীক্ষা চালায়। বাঘটি সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ থাকায় জঙ্গলের বাঘ জঙ্গলেই ছেড়ে দেন বনকর্মীরা। ৫ অক্টোবর সন্ধ্যার পরই বৈকুন্ঠপুর ৬ নম্বর গ্রামের বাসিন্দা ভীম নায়েক ও তার পরিবারের সদস্যরা ওরিয়েন নালার পাড় সংলগ্ন গোয়ালঘরে গরুর আর্তনাদ এবং তারপরেই বাঘের গর্জন শুনতে পান। ফলে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
পরের দিন বনদফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা বাজি পটকা পাঠিয়ে নদী থেকে বাঘকে জঙ্গলে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু আশ্বস্ত হওয়ার অবকাশ ছিল না। রাতেই শিকারের নেশায় বাঘ আবার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এলে বন দফতরের পাতা খাঁচায় বন্দী হয় বাঘ। বাঘের সঠিক অবস্থান জানতে বনদফতরের কর্তারা নদী ও জঙ্গলে ড্রোন উড়িয়ে তল্লাশি চালায়। এমনকি বাঘের পায়ের ছাপ পরীক্ষা করা হয়।
এই নিয়ে গ্রামবাসীরা জানায়, জঙ্গল থেকে আসার পায়ের ছাপ মিললেও গ্রাম থেকে খারি পথ ধরে বেরিয়ে যাবার পায়ের ছাপ মেলেনি। এর জেরেই সন্ধ্যার পর থেকেই ঠাকুরান নদী সংলগ্ন আজমলমারি ১২ নম্বর জঙ্গলে খাঁচা পাতার উদ্যোগ নেয় বন দফতরের কর্মীরা। রাতেই সেই খাঁচাতে বন্দী হয় বাঘ।
ঝড়খালি রেসকিউ সেন্টারে জলপথে নিয়ে যাওয়া হয় বাঘটিকে। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। বাঘটি সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ। বাঘটিকে লঞ্চে করে জল পথে নিয়ে গিয়ে সুন্দরবনের কলস জঙ্গলে ছেড়ে দেন বনকমীর্রা। তারা জানিয়েছেন পূর্ণবয়স্ক বাঘটি সম্পূর্ণ সুস্থ।