#RepublicDayIndia: দিল্লির রাজপথে কেন্দ্রকে নয়া বার্তা পাঠাল বাংলার ট্যাবলো

নয়াদিল্লি: আজ প্রজাতন্ত্র দিবস৷ শহিদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে দিল্লির রাজপথে সর্বধর্মের বার্তা দিল বাংলার বিশেষ ট্যাবলো৷ সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে এবছর বাংলার ট্যাবলোর থিম, শান্তিনিকেতনে ও বেলেঘাটায় গান্ধীজি৷ সব পরিকল্পনাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ এদিন দেশের জনতাকে চমকে দিয়ে সর্বধর্মের বার্তা দেয় বাংলার ট্যাবলোর থিম৷ ট্যাবলোর সামনে গান্ধী-রবিঠাকুরের মূর্তির সামনে সর্বধর্মের বার্তা তুলে ধরেন ১০ জন শিল্পী৷ ১৯১৫

#RepublicDayIndia: দিল্লির রাজপথে কেন্দ্রকে নয়া বার্তা পাঠাল বাংলার ট্যাবলো

নয়াদিল্লি: আজ প্রজাতন্ত্র দিবস৷ শহিদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে দিল্লির রাজপথে সর্বধর্মের বার্তা দিল বাংলার বিশেষ ট্যাবলো৷ সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে এবছর বাংলার ট্যাবলোর থিম, শান্তিনিকেতনে ও বেলেঘাটায় গান্ধীজি৷ সব পরিকল্পনাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷

এদিন দেশের জনতাকে চমকে দিয়ে সর্বধর্মের বার্তা দেয় বাংলার ট্যাবলোর থিম৷ ট্যাবলোর সামনে গান্ধী-রবিঠাকুরের মূর্তির সামনে সর্বধর্মের বার্তা তুলে ধরেন ১০ জন শিল্পী৷ ১৯১৫ সালের মার্চ মাসে শান্তিনিকেতনে গান্ধীজির সঙ্গে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের সাক্ষাৎ তুলে ধরা হয় ট্যাবলোতে৷ ওই দুই প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তির সাক্ষাতের মুহূর্ত ফাইবারের মডেলে তৈরি করা হয়৷ ৪৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪ ফুট চওড়া ট্রেলারের উপরে সাজানো হবে ট্যাবলোর অগ্রভাগে ওই ফাইবারের মডেল৷ মডেল দুটির পিছনে রবিঠাকুরের শান্তিনিকেতনের বাড়ি শ্যামলী’র আদলে তৈরি। পরের অংশে ছিল জাতীয় পতাকা৷ ট্রেলারের পিছনের দিকে ছিল বেলেঘাটার তৎকালীন হায়দরি মঞ্জিল, যা এখনকার গান্ধীভবন। যেখানে দাঙ্গার বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের ১৩ আগস্ট থেকে ৭৩ ঘণ্টার অনশন করেছিলেন গান্ধীজি। কয়েকজন দাঙ্গাকারী তাঁর কাছে অস্ত্র সমপর্ণ করে। দাঙ্গাকারীরা দাঙ্গা বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিলে ফলের রস খেয়ে অনশন ভঙ্গ করেছিলেন গান্ধীজি। পুরো বিষয়টি জীবন্ত মডেলের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় ট্যাবলোতে৷ ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা লাভের দিন তিনি ওই হায়দারি মঞ্জিলেই ছিলেন৷

পর্যবেক্ষক মহলের ধারনা, এই ট্যাবলোর মাধ্যমে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকারকে নয়া বার্তা দিতে চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কেননা, এই মুহূর্তে ধর্মের নামে রাজনীতি ও বিভাজনের যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে দাঙ্গাবিরোধী, সর্বধর্মের বার্তা দিয়ে ফের নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেলন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

১৯৯৯ সালে বামফ্রন্ট সরকার ২৬শে জানুয়ারির কুচকাওয়াজে আর অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। চাকা ঘোরে ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর। দীর্ঘ ১২ বছর পর ২০১২ সালে ফের ট্যাবলো পাঠায় পশ্চিমবঙ্গ। সেবারের থিম ছিল শান্তিনিকেতনের বসন্তোৎসব। পরের বছর ২০১৩ সালে স্বামী বিবেকানন্দের দেড়শো বছরের উপর ভিত্তি করে ট্যাবলো করা হয়। ২০১৪ সালে ট্যাবলোর থিম ছিল বাংলার ছৌ নৃত্য, যা প্রথম স্থান অধিকার করে। ২০১৬ সালে ট্যাবলোর থিম ছিল বাংলার বাউল। সেবারও প্রথম হিসেবে পুরস্কার পায় পশ্চিমবঙ্গ। ২০১৭ সালের ট্যাবলোতে থিম ছিল শারোদৎসবে ঢাকের বাদ্যি। ২০১৫ সালে কন্যাশ্রী প্রকল্পকে থিম হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু তারা অনুমোদন না করায় সেই বছর ট্যাবলো পাঠাতে পারেনি রাজ্য। ২০১৮ তে ছিল একতাই সম্প্রীতি। তারও অনুমোদন দেয়নি কেন্দ্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 1 =