মালদহ: পঞ্চায়েতে অনাস্থা প্রস্তাব আনা নিয়ে মালদায় ফের সামনে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবার ইংরেজবাজারের ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে অপসারণের জন্য বিজেপির হাত ধরার অভিযোগ উঠল ওই পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যদের বিরুদ্ধে। তাতে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠল জেলাস্তরের এক নেতার বিরুদ্ধে। ২০ সেপ্টেম্বর অনাস্থা প্রমাণের দিন ধার্য হলেও তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ন’টি আসন বিশিষ্ট ইংরেজবাজারের ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের পাঁচ, বিজেপির তিন ও কংগ্রেসের একজন সদস্য রয়েছেন। এখানে তৃণমূলের প্রধান রহিমা বিবির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিজেপির তিন ও কংগ্রেসের এক সদস্য। কিন্তু তাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না হওয়ায় তৃণমূলের দুই সদস্য বিজেপির সঙ্গে হাত মেলায় বলে অভিযোগ। আর এতে জেলাস্তরের এক নেতার মদত রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রহিমা বিবি বলেন, ‘‘দলে থেকে একাংশ সদস্য বেইমানি করছেন৷ তাই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷’’ সংশ্লিষ্ট এলাকাটি মানিকচক বিধিনসভার অধীনে রয়েছে। বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর ঘটনা প্রসঙ্গে মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র বলেন, ‘‘বিষয়টি জেলা নেতৃত্বরা দেখছেন৷’’ বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের দুই সদস্যের হাত মেলানোর ঘটনা জানতে পেরেই ওই দুই সদস্যের দলীয় সদস্যপদ খারিজ করেন জেলার তৃণমূল সভাপতি রহিম বক্সি। সে কারণে ২০ সেপ্টেম্বর সোমবার অনাস্থা প্রমাণের দিন থাকলেও তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। রহিম বক্সি বলেন, ‘‘দলবিরোধী কাজ করলে কেউ রেহাই পাবেন না৷’’
এই প্রথম অবশ্য নয়৷ গ্রাম পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতিতে অনাস্থা আনতে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর ঘটনা জেলায় এর আগেও একাধিকবার ঘটেছে৷ যার জেরে ফের দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল বলেই মনে করা হচ্ছে৷ এমন ঘটনায় যথেষ্ট বিব্রত জেলা তৃণমূল।