ঘর শত্রু বিভীষণদের দৌলতে অপসারিত সভাপতি, প্রকাশ্যে শাসকের গোষ্টীকোন্দল

ঘর শত্রু বিভীষণদের দৌলতে অপসারিত সভাপতি, প্রকাশ্যে শাসকের গোষ্টীকোন্দল

 

মালদহ: তৃণমূল পরিচালিত রতুয়া-২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির অপসারণ ঘিরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। কুড়ি লক্ষ টাকা কাঠমানি না দেওয়ায় সরাসরি জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে সরব অপসারিত সভাপতি সুমিত্রা সরকার। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সীর। কটাক্ষ বিজেপির।

তৃণমূল পরিচালিত রতুয়া-২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির মোট ২৪টি আসনের মধ্যে ২১টি আসন দখলে রয়েছে তৃণমূলের। বিজেপির দুটি আসন, একটি আসন কংগ্রেসের। দুই বিজেপি সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে ওই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন দলের সদস্যরা। সেই অবস্থায় অপসারিত হন সুমিত্রা সরকার। এরপরই সরাসরি জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তিনি। এই অপসারণের পিছনে মদত রয়েছে তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সীর অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন তিনি। পুরো বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

সুমিত্রাদেবী বলেন, ‘‘জেলা সভাপতি আমার কাছে ২০ লক্ষ টাকা কাটমানি চেয়েছিলেন৷ আমি ওনার এই বেনিয়মের প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম৷ তাই আমাকে পরিকল্পিতভাবে হঠিয়ে দেওয়া হল৷ ষড়যন্ত্রের বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি৷’’ যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী। রহিম বক্সী বলেন, ‘‘ওই সভাপতিকে দলের সদস্যরা অনাস্থা ডেকে সরিয়ে দিয়েছেন। দলের হুইপ অমান্য করা হয়েছে। দল সভাপতির পাশেই ছিল।’’ একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘‘উনি অপসারিত হয়ে এখন উলটো পাল্টা বকছেন৷’’ দলের সদস্যদের হাতে দলের সভাপতির অপসারণের ঘটনাকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *