আজ বিকেল: সোনা শব্দের সঙ্গে ভালবাসা, ভাললাগা, সমৃদ্ধি সবকিছুই লুকিয়ে আছে। তাই সোনা কিনেই ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত করতে চায় বাঙালি। পালা পার্বণ এলেই তাই গয়না কেনার হিড়িক পড়ে যায়। সবে সবে অক্ষয় তৃতীয়া আর ১লা বৈশাখ গেল, বছরের শুভক্ষণে সোনা কিনতে শহরের স্বর্ণ বিপণিগুলিতে ভিড় উপচে পড়েছিল। বিশেষ দিনে প্রিয়জনকে উপহার দিতে কার না মন চায়, তবে বাঙালি ভাল উপহার বলতে সোনাই বোঝে। কেননা বিপদে আপদে এই সোনাই অনেক সময় সমাধানের পথ দেখায়। সোনা কেনা লগ্নি করারই শামিল বলতে পারেন। তবে সোনা কেনার আগে অবশ্যই দেখতে হবে কোন দোকান থেকে কিনছেন, মজুরিতে কোনওরকম ছাড় দিচ্ছে কিনা সেসব ভালভাবে দেখে নিন।
আজকালকার দিনে খাঁটি সোনা পাওয়াটাও ভাগ্যের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোনার গয়না কতটা খাঁটি তা ঠিক করে ‘ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস’ (বিআইএস)। প্রত্যেক গয়নায় একটি নম্বর হলমার্ক করা থাকে, বিআইএস স্ট্যাম্প, সোনার ক্যারাট, হলমার্কে সাল, স্বর্ণকারের পরিচয় ও অবস্থানের বিবরণ থাকে। তাই অন্ধ বিশ্বাসের সঙ্গে গয়না কেনার আগে এগুলি যাচাই করে নিন। এদিকে পুজোর আগে পড়ে অনেক দোকানেই গয়না তৈরির মজুরিতে বড় অংশের ছাড় দেওয়া হয়। দেখে নিন এই ছাড়ের মধ্যেই কোনওভাবে আপনার পকেট থেকে বেশি টাকা নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে কিনা।তাই গয়না কেনা মনস্থির করলে বাজারে একটু সার্ভে করে নিন। বেশ কয়েকটি দোকানে ঘোরাফেরা করে দামের হেরফের বুঝে বিচার বিবেচনা গয়না কিনুন।তবে সোনার গুনগত মান ও নকশার উপরেও মূল্য নির্ভর করে, তাই সবদিক দেখেশুনেই সোনা কিনুন।
২৪ ক্যারেট সোনাতে গয়না গড়লে ঠকার সম্ভাবনা কম। কেননা এতে ৯৯.৯ শতাংশ খাঁটি সোনা থাকে। অন্যদিকে ২২ ক্যারেট সোনা মানে ৯৯.৯ শতাংশ খাঁটি। তবে আমাদের দেশে ২২ এবং ২১ ক্যারেট সোনা দিয়েই বেশি গয়না তৈরি করা হয়। সোনা কেনার আগে স্পেকট্রোমিটার যন্ত্রের সাহায্যে সোনা যাচাই করে নিন।