কলকাতা: বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ধর্ষণের অভিযোগ মামলায় ফের স্বস্তি পেলেন কলকাতা হাইকোর্টে। অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল রাখল বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ২৭ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। কৈলাস বিজয়বর্গীয় সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধ শ্লীলতাহানির অভিযোগ ছিল। নবমীর দিন বিশেষ আদালতের নির্দেশে তারা অন্তর্বর্তী আগাম জামিন পান। আজ ফের পুজো অবসরকালীন বিশেষ বেঞ্চে হয় এই মামলার শুনানি। রাজ্যের পক্ষ থেকে আইনজীবী জানান ,হোয়াটসঅ্যাপে অশ্লীল কথাবার্তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। মেসেজের মাধ্যমে অভিযোগকারীনিকে ডেকে পাঠানো হয় রাজনৈতিক আলোচনার নামে।
নবমীর দিন এই মামলার শুনানিতে ১০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর হয় বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীর। ২০১৮ সালে দলেরই এক প্রভাবশালী নেত্রীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ওঠে কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় নাম জড়ায় আরও দুই বিজেপি নেতা প্রদীপ যোশী এবং জিষ্ণু বসুর। তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই নেত্রী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত৷ তদন্তের প্রেক্ষিতে তিন বিজেপি নেতার গ্রেফতারির সম্ভাবনা তৈরি হতেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় সহ তিন বিজেপি নেতা৷
বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক তথা কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ছিলেন ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে বঙ্গ বিজেপি’র সাফল্যের অন্যতম কুশীলব৷ তবে লোকসভা ভোটে বিজেপি’র সাফল্যের পরেই যে ভাবে একের পর এক নেতাকে তিনি দলে ঢুকিয়েছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই৷ বিধানসভায় বিজেপির বিপর্যয়ের পর সেই প্রশ্ন আরও বেশি ভাবে মাথাচাড়া দেয়৷ এর মধ্যে যৌন হেনস্থা মামলা মাথাচাড়া দিতেই বিপাকে তিনি৷