ঝাড়গ্রাম: সবাই যখন সুন্দরবন চত্বরে ত্রাণ দিতে ব্যস্ত, বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিটিএ) তার মধ্যেও করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বিপর্যস্ত মানুষের কথা ভোলেনি। ঝাড়গ্রাম এবং বেলপাহাড়ি এলাকার হতদরিদ্র মানুষ, যাঁরা অতিমারির প্রকোপে আরও অসহায় হয়ে পড়েছেন, তাঁদের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছ বিজিটিএ। স্নাতক শিক্ষকদের প্রতি দুই দশকেরও বেশি বেতন বঞ্চনা এবং নিজেদের সম্মান অর্জনের জন্য বিজিটিএ দু' বছর ধরে লড়াই করে চলেছে। সেই সঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে লড়তেও মাঠে নামল বিজিটিএ। রাজ্য সরকারের ত্রাণ তহবিলে পাঁচ লক্ষ টাকার অনুদান দিয়েছে তারা। আমপান মোকাবিলাতেও পা মিলিয়েছে এই শিক্ষক সংগঠন।
এবার বিজিটিএ ঝাড়গ্ৰাম জেলার পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বেলপাহাড়ি ব্লকের বাঁশপাহাড়ি অঞ্চলের জড়ডাঙ্গা ও আগুইগোড়া গ্ৰামের একেবারে হতদরিদ্র শবর ও ভূমজ সম্প্রদায়ের শ'খানেক পরিবারকে আজ (১৭ জুন) সকালে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই নিয়েও ত্রাণসামগ্রী তুলে দিলেন জেলা বিজিটিএ সভাপতি শুভেন্দু শেখর সাহা এবং জেলার অন্যতম সদস্যবৃন্দ ভূপতি দে, সত্যবান মণ্ডল, সাগর মন্ডল ও ভবতোষ মাহাত। জেলা সভাপতি বলেন, “আমরা গত রবিবার ঝাড়গ্ৰাম থেকে গিয়ে ওই গ্ৰামগুলিতে পৌঁছে নিজেরাই সমস্ত দিন ঘুরে ঘরে ঘরে ত্রাণের কুপন বিলি করেছি, যাতে প্রকৃত হতদরিদ্র পরিবারের কাছে আমরা ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিতে পারি।এটাই হচ্ছে বিজিটিএ সংগ্ৰামী শিক্ষকদের মহান ব্রত।” জেলার তরফে শিক্ষক মনোজবাবু জানান, “রাজ্য সরকারের উচিত আমাদের আইনি দাবিকে অবিলম্বে মান্যতা দেওয়া।”
বিজিটিএ-র তরফে দেওয়া ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল সর্ষের তেল- ৫০০ গ্রাম, মুসুর ডাল- ৫০০গ্রাম, সয়াবিনের প্যাকেট, একটি সাবান, লঙ্কাগুঁড়োর প্যাকেট, হলুদ গুঁড়োর প্যাকেট, আলু- ১ কিলো, পেঁয়াজ- ১কিলো, বিস্কুটের প্যাকেট ১টি। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য জানান, “বিজিটিএ এক অনন্য শিক্ষক সংগঠন যা মানবিকতার পাশাপাশি গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের দাবি আদায়ে দৃঢ় ভাবে সংগ্রাম করে চলেছে। দাবি না মানা হলে আমরা শীঘ্রই রাস্তায় নামতে বাধ্য হবো।” বিজিটিএ-র রাজ্য সভাপতি ধ্রুবপদ ঘোষাল বলেন, “প্রতিটি জেলায় জেলায় আমাদের এই ভাবে ত্রাণ কর্মসূচি চলতে থাকবে।”