ভোটকর্মীদের লাগাতার আন্দোলনের জের, বড় পদক্ষেপ প্রশাসনের

কলকাতা: নিরাপত্তার দাবিতে অব্যাহত ভোটকর্মীদের প্রতিবাদ৷ ভোটকর্মীদের দাবি মেনে অবশেষে পশ্চিম মেদিনীপুরের সব বুথে বাহিনী নিশ্চিত করার আশ্বাস কমিশনের৷ আজ, খড়গপুরে ভোটের প্রশিক্ষণ চলাকালীন বিক্ষোভ কর্মসূচি ডাক দেয় ঐক্য মঞ্চ৷ বিক্ষোভ সামলাতে আগেভাগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের তরফে প্রায় ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়৷ লোকসভা নির্বাচনে সারা রাজ্যের সঙ্গে

ভোটকর্মীদের লাগাতার আন্দোলনের জের, বড় পদক্ষেপ প্রশাসনের

কলকাতা: নিরাপত্তার দাবিতে অব্যাহত ভোটকর্মীদের প্রতিবাদ৷ ভোটকর্মীদের দাবি মেনে অবশেষে পশ্চিম মেদিনীপুরের সব বুথে বাহিনী নিশ্চিত করার আশ্বাস কমিশনের৷ আজ, খড়গপুরে ভোটের প্রশিক্ষণ চলাকালীন বিক্ষোভ কর্মসূচি ডাক দেয় ঐক্য মঞ্চ৷ বিক্ষোভ সামলাতে আগেভাগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের তরফে প্রায় ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়৷

লোকসভা নির্বাচনে সারা রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী-সহ সুনিশ্চিত নিরাপত্তার দাবিতে ভোট কর্মীরা তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলেন৷ শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের তরফে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখানো হয়৷ প্রশিক্ষণ চলাকালীন মেদিনীপুর, খড়্গপুর, ঘাটাল সর্বত্র ভোট কর্মীরা প্রতিবাদ জানানোর কর্মসূচি গ্রহণ করেন৷ ঐক্য মঞ্চের পক্ষ থেকে গত ২৮ এপ্রিল ভোটকর্মীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসকের দপ্তর৷ জেলার পাঁচ হাজার ভোট কর্মীর স্বাক্ষরসহ ডেপুটেশন দেওয়া হয় জেলা শাসক দপ্তরে। সেখানে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল ৯০ শতাংশের বেশি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দ্বারা ভোট গ্রহণ করা হবে৷ এরপরও ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী সহ সুনিশ্চিত নিরাপত্তার দাবিতে অনড় থাকে ঐক্যমঞ্চ। শেষ দফার ভোটের প্রশিক্ষণে একইভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করে শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চ৷ খড়গপুরে ভোটের প্রশিক্ষণ চলাকালীন বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাকও দেওয়া হয় ঐক্য মঞ্চের তরফে৷ কিন্তু, বিক্ষোভের আঁচ পেয়ে আগেই জেলা প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়,  প্রায় ১০০শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হবে।

এরপর  ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক পি মোহনগান্ধীকে ফোন করেন। প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, খড়গপুর ও মেদিনীপুরের মিউনিসিপ্যালিটির এলাকার কয়েকটি বুথে সশস্ত্র রাজ্য পুলিশ থাকবে ও এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারিও থাকবে। এছাড়া গ্রামীণ এলাকার প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। ফলে পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রায় ১০০শতাংশ বুথেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঐক্য মঞ্চের পক্ষ থেকে শ্যামল দে ও প্রতাপ পন্ডা বলেন, ‘‘জেলাশাসকের এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷ আমাদের দাবি মেনে নেওয়ায় আমরা তাঁকে আন্তরিক অভিনন্দন৷’’ ঐক্য মঞ্চের সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “এ জয় ভোট কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ফল। আমরা তাঁদের সকলকে অভিনন্দন জানাই। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকগণ আমাদের দাবি মেনে নেওয়ায় তাঁদেরকেও অভিনন্দন জানাচ্ছি। সকল ভোট কর্মীদের উদ্দেশ্যে আমাদের আবেদন, প্রত্যেকে যেন মর্যাদা ও সাহসিকতার সঙ্গে তাঁদের নিজের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *