ক্যানিং: নাম তার রেড ইয়ারড স্লাইডার, দেখা মেলে মেক্সিকো এবং আমেরিকার দক্ষিণ পূর্বাংশে। বুধবার এই প্রজাতির কচ্ছপেরই দেখা মিলল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের চালতাবেড়িয়ায়। স্থানীয় গ্রামবাসীরা রঙচঙে চেহারার এই কচ্ছপকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে রেঞ্জ অফিসার স্বপন ভান্ডারী বনকর্মীদের নিয়ে গিয়ে নিয়ে আসেন এই ‘বহিরাগত’ কচ্ছপকে। সুন্দরবনে এই কচ্ছপের উপস্থিতিতে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে প্রাণীবিদদের কপালে।
এই প্রজাতির কচ্ছপেরা যে কোন পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারায় পোষ্য হিসাবে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে গোটা বিশ্বে। কিন্তু এরা খুব তাড়াতাড়ি যেকোনো জলাশয়ের মাছ, শামুক, কেঁচো, পোকামাকড় খেয়ে ফেলে। একইসাথে এরা সরীসৃপদের প্রাণঘাতী রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া সালমোনেল্লা বহন করে। দ্রুত আয়তনে বৃদ্ধি পাওয়া এই কচ্ছপের এ রাজ্যে প্রথম দেখা মেলে ২০১৫ সালে। পরে রবীন্দ্র সরোবার এবং বারুইপুরের এক জলাভূমিতে এদের দেখা মেলে। কিন্তু সুন্দরবনের মতন জীববৈচিত্র্য বহুল অঞ্চলে এদের দেখা মেলায় যথেষ্ট চিন্তিত বনদফতর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভাগীয় বনাধিকারিক মিলন মণ্ডল জানান, “এই প্রজাতির কচ্ছপ যেহেতু জলাশয়ে অন্যান্য প্রাণীদের ক্ষতি করে সেকারণে একে মুক্ত পরিবেশে ছাড়া হবেনা। আলিপুর চিড়িয়াখানায় পাঠানো হবে।”