কলকাতা: শিয়রে ভোট৷ তার আগেই মাধ্যমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে দ্রুত শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগে তৎপর রাজ্য৷ ইতিমধ্যেই প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউয়ের দিনক্ষণ জানানোর পরে শীঘ্রই শারীর ও কর্মশিক্ষা বিষয়ে সফল প্রার্থীদের চূড়ান্ত মেধা তালিকা ও স্কুলের নাম আপলোড করা হবে৷ তবে এই সব ইতিবাচক ঘটনার মধ্যে নতুন করে প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়া ঘিরে ফের বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
মাধ্যমিক, উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ আপডেট
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পর্ষদের তরফে যে প্রার্থীদের নামের তালিকা ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে, সেখানে জীববিজ্ঞানের ওয়েটিং লিস্টে ২০ ও ২৩ নম্বরে থাকা দুই প্রার্থীর থেকে আগে নাম থাকলেও কেন তাঁরা ডাক পাননি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই ঘটনা প্রথম নয়। পুজোর আগে এসএসসি-র ‘ওয়েট লিস্টে’ প্রথম ১৫-য় না থাকলেও হঠাৎই একজনের নাম চলে আসে ১ নম্বরে। কমিশনের মাধ্যমে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক নিয়োগের (তফসিলি জাতি, মহিলা) মেধা তালিকায় এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল শিক্ষা মহলে।
শিক্ষকের অভাবে বাড়াচ্ছে স্কুলছুটের সংখ্যা, রিপোর্ট সর্বশিক্ষা মিশনের
এক নম্বরে যাঁর নাম উঠেছিল, তিনি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর মেয়ে। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা পরেশ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ফল পেয়েছেন। ইতিমধ্যে অবশ্য তাঁর মেয়ে কাজে যোগ দিয়েছে। এ ব্যাপারে একাধিকবার ফোন করেও পরেশের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। এসএসসি কর্তাদের অবশ্য সাফাই, ফলপ্রকাশের পরে অনেকেই প্রাপ্ত নম্বরে সন্তুষ্ট না হয়ে তথ্য জানার অধিকারে (আরটিআই) আবেদন করেছিলেন। তাতে কারও কারও নম্বর বাড়ে। পরীক্ষা সংক্রান্ত গোপন শাখার সুপারিশের ভিত্তিতে সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করা হয়।