কাঁথি: কাঠগড়ায় কাঁথির একটি বেসরকারী নাসিংহোম। মৃত রোগীর পরিবারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল কাঁথির সত্যসাঁই সেবাসদন নার্সিংহোমে বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কার্ড থাকা সত্ত্বেও মৃতের পরিবারের সদস্যের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কাঁথির ওই নার্সিংহোমে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসার গাফিলতি ও কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন মৃতার পরিজনেরা।
জানা গিয়েছে এগরা ১ ব্লকের সাহাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দঃ শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা মহামায়া পাহাড়ী (৪৬) শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে কাঁথির সত্যসাঁই সেবাসদনে নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। নাসিংহোমের তরফে মহামায়াদেবীর স্বামী অনন্ত পাহাড়ীকে বলা হয় রোগী ভর্তির জন্য প্রত্যেক দিন ২৫ হাজার টাকা করে দিতে হবে। কিন্তু রোগীর আত্মীয় পরিজনরা রাজ্য সরকারে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কার্ড দেখিয়ে চিকিৎসা ছাড়ের আবেদন করেন। কিন্তু নাসিংর্হোম কতৃপক্ষ সেই আবেদন মেনে নেয়নি। টাকা নিয়ে দর কষাকষি ফাঁকে রোগীর অবস্থা সংঙ্কটজনক হতে পড়ে।
রোগী পরিবারের লোকেরা কোন উপায় না পেয়ে দু’দফায় মিলে ৪০ হাজার টাকা জমা দেয়৷ ২৫ শে জুলাই রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। এরপর পরিবারের সদস্যরা স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কথা বলে টাকা ফেরতের দাবি জানান৷ মৃত রোগীর পরিবারের অভিযোগ, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডকেও ওরা গুরু্তব দিতে চাননি৷ এরপর গত ২৯ শে জুলাই কাঁথি পুরসভা প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্যদের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন মৃত বধুর স্বামী অনন্ত পাহাড়ী। গুরুতর অভিযোগ পেয়ে সরোজমিনে তদন্ত নামেন পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য মামুদ হোসেন। তিনি বলেন ” এই নার্সিংহোমে বিরুদ্ধে আগে বহুবার অতিরিক্ত টাকা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। দারুয়া এলাকায় জমির চরিত্র বদল করে জলাশয় ভরাট করে বেআইনিভাবে নার্সিংহোম তৈরি করা হয়েছে। রোগীর কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ বহুবার হয়েছে।’’