কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গ রাজনীতির ক্রমবর্ধমান পারদ জানান দিচ্ছে একুশের নির্বাচনী টক্কর হতে চলেছে সেয়ানে সেয়ানে। ভোটের মুখে শাসকদল খালি করে একের পর এক গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। দলবদলের সেই তালিকায় প্রথম সারিতেই রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
গেরুয়া পতাকাতলে গিয়ে পুরোনো দলের বিরুদ্ধে ক্রমাগত আক্রমণ শানিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য জুড়ে ১০০ দিনের কাজের খতিয়ান পেশ করেছেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের এই সফল কর্মসূচিকেই এবার চূড়ান্ত ব্যর্থ বলে তোপ দেগেছেন এই বিজেপি নেতা। সাফল্যকেই ব্যর্থতায় পর্যবসিত করার এই নতুন কায়দা যেন চেনা চেনা ঠেকছে দেশের রাজনৈতিক মহলের। একসময় কেন্দ্রে কংগ্রেসের বাড়বাড়ন্তকে দমাতে ঠিক এই কৌশলই কি নেন নি নরেন্দ্র মোদী?
বস্তুত, গোটা দেশে ১০০ দিনের কাজে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাফল্যের খতিয়ান রয়েছে সবার আগে। একবার নয়, টানা ৪ বছর ধরে এ ব্যাপারে রাজ্য প্রধানদের মধ্যে শীর্ষেই রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সম্প্রতি বারুইপুরের বিজেপির সভা থেকে সদ্য যোগদানকারী নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের এই প্রকল্পকে তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “রাজ্যে কোনো স্থায়ী চাকরি নেই। আর সে কারণেই বেকারদের ১০০ দিনের কাজ করতে হচ্ছে।” ১০০ দিনের কাজে বাংলা এক নম্বরে মানেই কর্মসংস্থানে সর্বশেষ নম্বরে, জানান তিনি।
বস্তুত, কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেস নেতৃত্বকে বিঁধে অনুরূপ তোপ দেগেছিলেন। বলেছিলেন, “স্বাধীনতার এত বছর পরও দেশে কাজের নামে গর্ত খুঁড়তে হচ্ছে। এটাই কংগ্রেস সরকারের সাফল্যের খতিয়ান।” কংগ্রেসের ব্যর্থতার যে কোনোভাবেই পুণরাবৃত্তি ঘটতে দেবেন না তিনি, জানিয়ে দেন সে কথাও। একুশের নির্বাচনের আগে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবলম্বিত কৌশলে এবার নরেন্দ্র মোদীর কথার ছায়াই দেখা যাচ্ছে।