আসানসোল: কয়লা পাচার-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার এক ঘনিষ্ঠ এবার আত্মসমর্পণ করলেন। তার নাম রত্নেশ বর্মা। মঙ্গলবার আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। বহু দিন ধরেই রত্নেশকে খুঁজছিল সিবিআই। তার নাম চার্জশিটে তো ছিলই, রত্নেশের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। কিন্তু এতদিনেও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না রত্নেশের। অবশেষে তিনি নিজে ধরা দিলেন।
আরও পড়ুন- উচ্চ মাধ্যমিকের অ্যাডমিট-রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার দিন বদল, যা জানাল সংসদ
জানা গিয়েছে, আত্মসমর্পণ করার পর আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন রত্নেশ বর্মা। কিন্তু বিচারক সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছেন তার আইনজীবী। তবে সিবিআই রত্নেশকে নিজেদের হেফাজতে নিতে আবেদন করেছে। কারণ তারা মনে করছে, রত্নেশ বর্মাকে জেরা করে কয়লা পাচার নিয়ে একাধিক নতুন তথ্য সামনে আসতে পারে। তাই তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়াটা খুব জরুরি। ইতিমধ্যে সিবিআইয়ের আবেদনের ভিত্তিতে তদন্তকারী আধিকারিককে কেস ডায়েরি আনার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সম্প্রতি বীরভূমে আবার কয়লা পাচারের হদিশ মিলেছে। সদাইপুর থানার রেঙ্গুনি গ্রামের রাস্তায় ৬টি মোষের গাড়ি আটক করে পুলিশ৷ ওই গাড়িগুলি থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ অবৈধ কয়লা৷ গাড়িগুলি থেকে প্রায় ১২ টন কয়লা উদ্ধার হয়েছে। তবে পুলিশকে দেখেই সেখান থেকে পালিয়ে যায় মোষের গাড়ির চালক-সহ ‘পাচারকারী’রা।