ratna biswas
বারাসত: রাজ্যে থাকা বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকায় নাম তোলার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। এই মন্তব্যের পর দলে কার্যত কোণঠাসা বারাসত সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান রত্না বিশ্বাস। রবিবার বারাসতে দলের তরফে একটি সভার আয়োজন হয়েছিল। সেখানে তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে তিনিও উপস্থিত ছিলেন, তবে তাঁর জায়গা হয়নি দলীয় মঞ্চে। আসলে নেত্রীর ‘বাংলাদেশি ভোটার’ মন্তব্যে অস্বস্তি বেড়েছে দলের অন্দরে।
বারাসত সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান যে মন্তব্য করেছেন তার জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন জেলা প্রশাসনের থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। আসন্ন লোকসভার আগে যে নেত্রীর এই মন্তব্য বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে ভোটারদের মধ্যে তার আন্দাজও করে ফেলেছে ঘাসফুল শিবির। তাই রবিবারের সভায় বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, জয়প্রকাশ মজুমদার-সহ তৃণমূলের আরও অন্যান্য নেতারা উপস্থিত থেকেও রত্না বিশ্বাসকে মঞ্চে ডাকেননি। উলটে রত্নার বক্তব্য যে ভুল তা স্বীকার করে নেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তাঁর দাবি, ওই নেত্রীর বলায় ভুল হয়েছে, বোঝারও ভুল হয়েছে। তিনি যা বলতে চেয়েছেন ঠিকভাবে তা বোঝাতে পারেননি।
কাকলি ঘোষ দস্তিদারের জন্মদিন উপলক্ষ্যে একটি দলীয় কর্মসূচির মঞ্চ থেকেই এই নেত্রীর বক্তব্য ছিল, কয়েক মাস পরেই লোকসভা নির্বাচন। এলাকায় অনেক বাংলাদেশিরা বসবাস করেন। তারা যেন দ্রুত ভোটার লিস্টে নাম তুলে নেন। তাঁর কথায়, তিনি চান না এই কাজে কোনও দেরি হোক, কোনও ভোট নষ্ট হোক। যদিও তৃণমূল শিবিরের দাবি, ১৯৭১ অবধি যাঁরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছেন, তাঁদের একই পরিবারের কারও নাম থাকলেও অনেকের ভোটার তালিকায় নাম নেই। নেত্রী সেটাই বলতে চেয়েছেন।