মহামারী, রেশন নিয়ে চলছে শাসকের ‘দলবাজি’! উঠছে গুচ্ছ অভিযোগ

মহামারী, রেশন নিয়ে চলছে শাসকের ‘দলবাজি’! উঠছে গুচ্ছ অভিযোগ

কলকাতা: করোনা মহামারীর আবহেও রেশন নিয়ে চলছে দলবাজি! মিলছে না নির্দিষ্ট পরিমাণ রেশন৷ রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে রেশন বিলিবণ্টন নিয়ে এবার সবর এসইউসিআই(সি)৷ তোলা হয়েছে বেশ কিছু অভিযোগ৷

এসইউসিআই (সি)’র  প্রাক্তন বিধায়ক তরুণকান্তি নস্করের দাবি, করোনার জন্য সাধারণ মানুষের আর্থিক অবস্থা যখন খুবই খারাপ, তখন মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী রেশানের মাধ্যমে খাদ্যদ্রব্য দেওয়ার যে ব্যবস্থা হয়েছে, তার পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় স্বল্প হলেও বিলির ক্ষেত্রে যেভাবে দলবাজি হচ্ছে৷ প্রশাসনের নানা স্তর যেভাবে শাসক দলের হয়ে কাজ করছে তাতে প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা বজায় থাকছে না৷ দলমত নির্বিশেষে সমস্ত মানুষের খাদ্য পাওয়ায় মুশকিল হচ্ছে৷ যাঁদের রেশান কার্ড নেই, তাঁদের সাময়িকভাবে স্লিপ দেওয়ার কথা৷ সেই স্লিপ বিডিও এবং থানার ওসির বিলির ব্যবস্থা করার কথা৷ জয়নগর ২নং ব্লকের ময়দা ও মনিরতট অঞ্চলের কয়েকটি গ্রামে সিভিক পুলিশ তৃণমূলের কর্মীদের নিয়ে এই স্লিপ বিতরণ করেছে৷ অথচ পঞ্চায়েত সদস্যদের সেকাজে যুক্ত করেনি৷ মনিরতট অঞ্চলের ১১নম্বরে সিভিকদের দায়িত্ব না দিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতার বাড়িতে ডেকে স্লিপ দেওয়ার কাজ চলেছে৷ একই ঘটনা ঘটছে মথুরাপুর ১নং ব্লকের উত্তর লক্ষ্মীনারায়ণপুর, আবাদ ভগবানপুর, শংকরপুর অঞ্চলে৷ গড়দেওয়ানী অঞ্চলে যাদের কার্ড নেই তাদের অনেকেরই স্লিপ দেওয়ার কোন ব্যবস্থা হয়নি৷

তাঁর আরও অভিযোগ, বেলেদুর্গানগর অঞ্চলের কিছু মানুষ দারিদ্রের জন্য খাবার পাচ্ছে না৷ প্রায় ৫০টি পরিবারের তালিকা গত ২৮ মার্চ বকুলতলা থানার ওসিকে জমা দিয়েছিল৷ মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী তাঁদের খাবারের ব্যবস্থার দায়িত্ব প্রশাসনের নেওয়ার কথা৷ কিন্তু ওসি গতকাল পর্যন্ত এই চিঠির গুরুত্ব দেননি৷ গড়দেওয়ান ও বেলেদুর্গানগরে কয়েকটি রেশান দোকানে ঘোষণার তুলনায় কম খাদ্য দেওয়ায় গ্রাহকদের প্রতিবাদে রেশান দেওয়া বন্ধ হয়েছে৷ আমরা বিডিও, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি, এসডিও, এসপিকে জানিয়েছি৷ কিন্তু কার্যকরী কোন সুরাহা হচ্ছে না৷ দলের জেলা কমিটির তরফ থেকে এর তীব্র প্রতিবাদ করছি৷ আমাদের দাবি, রেশানে অখাদ্য আটার পরিবর্তে গম ও ভোজ্য তেল, সাবান ও চিনি দিতে হবে৷ লকডাউনে কাজ হারানো সমস্ত শ্রমিকের খাদ্যের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × four =