‘আদালতে সময় অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ’, রথযাত্রার বিরূদ্ধে জনস্বার্থ মামলা খারিজ হাইকোর্টের

‘আদালতে সময় অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ’, রথযাত্রার বিরূদ্ধে জনস্বার্থ মামলা খারিজ হাইকোর্টের

615c32c5218b682b37baf2406dfa62d2

  

কলকাতা: রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানে জন্য আদালত নয়! আদালতে সময় অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ। বিজেপির রথযাত্রার বিরূদ্ধে জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। এই প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, বিজেপির রথ যাত্রার বিরোধিতা সংক্রান্ত মামলা ‘জনস্বার্থ মামলা’ নয়। তাই এই মামলা খারিজ করা হয়েছে। মামলা খারিজ করেছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘রাজনৈতিক পরিচয় দেখিয়ে মামলা করেছেন মামলাকারি আইনজীবী। রাজনৈতিক বিবাদ মেটানোর জায়গা আদালত নয়। তার জন্য নির্বাচন আছে। তাই এই নিয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করবে না। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এই রথযাত্রার কারণে করোনা বিধি শিকেয় উঠতে পারে এবং বিরাট পরিমাণে সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন সরকার পক্ষের আইনজীবী। পাশাপাশি, বিজেপির এই রথযাত্রার কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। তবে আখেরে কোনও লাভ হল না। হাইকোর্টে বড় স্বস্তি পেল ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির।

বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যের সাধারণ মানুষের মধ্যে বিজেপির প্রচার আরো বাড়াতে এবং সংগঠন আরো মজবুত করতে এই রথযাত্রা আয়োজন করেছে বিজেপি। ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরের থেকে এই যাত্রার নাম দেওয়া হয়েছে পরিবর্তন যাত্রা। ইতিমধ্যেই রথ যাত্রার সূচনা করে ফেলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রথ যাত্রার সূচনা করে দুজনেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন। তবে বিজেপির এই রথযাত্রা নিয়ে প্রথম থেকেই বিতর্ক ছিল, অনুমতি না মেলায় উত্তেজনা সৃষ্টি হচ্ছিল আরও বেশি করে। যদিও বিজেপির তরফ স্পষ্ট করা হয়েছিল যে, রাজ্য সরকারের কাছ থেকে তাঁরা অনুমতি নেবে না। তারা শুধু জানিয়েছিল যে রাজ্যের ৫ জায়গা থেকে রথযাত্রার কর্মসূচি করবে ভারতীয় জনতা পার্টি।

তবে বিজেপির এই রথযাত্রা পরিবর্তন যাত্রা নিয়ে ইতিমধ্যেই আক্রমণ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিজেপি এই রথযাত্রা করে আদতে জগন্নাথ দেবকে অপমান করছে, ধর্মকে অসম্মান করছে। মমতার বক্তব্য ছিল, ১০ তলা হোটেলের মত রথ বানিয়ে আদতে রাজ্যের সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে তারা। মানুষের টাকায় ফুর্তি করার জন্য এই কর্মসূচি। যদিও এর পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ পাল্টা বলেছিলেন, বিজেপি নেতারা কোথায় থাকে আর কি খায় সেটা সবাই জানেন, তারা কিছু লোকান না। সব মিলিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির রথযাত্রা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ তুঙ্গে রয়েছে এখনো। তবে হাইকোর্টের রায় ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির অনেকটাই বেশি অক্সিজেন পেয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *