কলকাতা: রথযাত্রা নিয়ে আইনি লড়াই এবার গড়াল সুপ্রিম কোর্টে৷ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি ঘটানোর আর্জি বিজেপির৷ আজ, সকালে শীর্ষ আদালতে অবসরকালীন বেঞ্চে এই মামলা দায়ের হয়েছে বলে খবর৷ আগামী ২৬ অথবা ২৭ তারিখ মামলার শুনানির জন্য আবেদন জানানো হয়েছে৷ একতরফা মামলার শুনানি রুখতে সুপ্রিম কোর্টে ক্যাবিয়েট দাখিল করেছে রাজ্য৷
রাজ্য বিজেপির তরফে যাত্রার অনুমতি পেতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ঠুকেছিলেন দলের সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। রবিবার দিল্লিতে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। রাজ্য কমিটির প্রভাবশালী এক নেতাও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। কেন্দ্রীয় বিজেপির আইনি পরমার্শদাতাদের সঙ্গে রথ মামলা নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়। তাঁদের পরামর্শ অনুসারে, রথযাত্রা মামলা সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর৷ বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, রীতিমতো আটঘাট বেঁধে প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি মূল্যায়ন করে মামলা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে বিজেপি৷
গত ১৫ দিন ধরে রথযাত্রা রাস্তায় বেরনোর পরিবর্তে আটকে রয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চ এবং ডিভিশন বেঞ্চে। গত বৃহস্পতিবার সিঙ্গল বেঞ্চ রথযাত্রায় অনুমতি দিয়েছিল। সঙ্গে বলেছিল রাজ্যকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে বিজেপি-ও যে সমানভাবে দায়ী হবে, তাও বলেছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। পরের দিনই রাজ্য যায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। শুক্রবার সেই মামলার রায়ে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত এবং শম্পা সরকারের ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে ফের আটকে যায় বঙ্গ বিজেপি-র রথচক্র।
এই নিয়ে দু’বার করে দুই বেঞ্চে ঘোরা হয়ে গিয়েছে দু’পক্ষের। প্রথমে রাজ্যের কাছে অনুমতি চেয়েও না মেলায় বিজেপি গিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চে। ৭ ডিসেম্বর, অর্থাৎ যে দিন কোচবিহার থেকে প্রথম রথযাত্রার সূচনার কথা ছিল, তার ঠিক আগের দিন, সিঙ্গল বেঞ্চ ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত রথযাত্রায় স্থগিতাদেশ দেয়। পরের দিন সকালেই বিজেপি যায় ডিভিশন বেঞ্চে। ডিভিশন বেঞ্চ বলে, রাজ্য সরকার এবং বিজেপি-কে বসে রথের রুট ঠিক করতে হবে। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার লালবাজারে বৈঠক হয়। শনিবার নবান্নর তরফে ৬ নম্বর মূরলীধর লেনের বিজেপি রাজ্য দফতরে ফ্যাক্স করে জানিয়ে দেওয়া হয়, নিরাপত্তার কারণে রাজ্য অনুমতি দিতে পারছে না। এরপর ফের দ্বিতীয় পর্বের কোর্ট-কাছারি শুরু হয় রথ নিয়ে। এ বার বাংলার রথ নিয়ে দিল্লি গেলেন বাংলার বিজেপি নেতারা। এখন দেখার শীর্ষ আদালত রথের পথ নিয়ে কী রায় দেয়।