জলপাইগুড়ি: সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। কোমর বেঁধে নেম পড়েছে শাসক বিরোধী উভয়পক্ষই। একে অপরের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষে কিংবা পরোক্ষে চলছে আক্রমণ শানানোর পালা। রাজনৈতিক পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের রাজনৈতিক ভাষাতেও অনেক বদল এসেছে বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।
আগের সেই বুদ্ধিদীপ্ত, চোরাগোপ্তা কটাক্ষের বদলে এখন আক্রমণ অনেক ব্যক্তিগত ও স্পষ্ট হচ্ছে বলে মনে করেন তাঁরা। এমনকি কোনও কোনও ক্ষেত্রে রাজনৈতিক আক্রমণ শালীনতার মোড়ক খুলে কুশ্রীভাবে বেরিয়ে পড়ে বলেও দাবি রাদনৈতিক মহলের। শাসক, বিরোধী উভয়পক্ষই এক্ষেত্রে সমান অবস্থানেই রয়েছে বলেও মনে করেন তারা।
জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে দুই নাবালিকাকে অপহরণ করে গণধর্ষণের ঘটনায় এবার বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের বক্তব্যে বিতর্ক ছড়াল। এদিন তিনি পরিবারটির বাড়িতে গিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ান। আক্রান্তদের পাশে দাঁড়িয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করে তাঁর অভিযোগ ধর্ষণের জন্য দাম ধার্য করেছে শাসকদল। বিবাহিত হলে ২০,০০০ এবং অবিবাহিত হলে ২৫,০০০ টাকা।
এক সর্বভারতীয় দল তথা কেন্দ্রের শাসকদলের নেত্রী এবং স্বনামধন্য ফ্যাশন ডিজাইনারের মুখে এহেন মন্তব্যে হতবাক সমাজের সবমহল। অনেকেই মনে করছেন শাসকদলকে আক্রমণ করতে গিয়ে সীমা ছাড়িয়েছেন অগ্নিমিত্রা। কড়াভাষায় আক্রমণ করতে গিয়ে তাঁর ভাষা ভারসাম্য হারিয়েছে বলেও মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তারা আরও বলেন, অগ্নিমিত্রার বোঝা উচিত ছিল তাঁর এই বক্তব্য শাসকদলকে উদ্দেশ্য করে হলেও কার্যত তিনি মহিলাদেরও অপমান করছেন। একই সঙ্গে রাজনৈতিক মহলের দাবি একজন মহিলা হিসেবে তিনি কীভাবে এই মন্তব্য করলেন তা তাদের চিন্তার বাইরে। অগ্নিমিত্রার এই বক্তব্যে দলের নেতা কর্মীদের রাজনৈতিক শিক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এদিন অগ্নিমিত্রা তাঁর বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন তাঁর বয়স হয়েছে, রিটায়ার করা উচিত। তিনি আরও বলেন মুখ্যমন্ত্রীর বদলে এবার থেকে বিজেপিই সবকিছু দেখে নেবে। বিজেপি মহিলামোর্চার সভানেত্রীর এই অভিযোগের পাল্টা দেয় তৃণমূল নেতৃত্বও।