কলকাতা: ভেবেছিলেন তিনি প্রার্থী হবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাকে প্রার্থী করবেন এমনটা প্রায় নিশ্চিত ছিলেন একদা তাঁর ‘প্রিয়’ রতন মালাকার। কিন্তু প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছে তাঁর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী কাজরিকে। এতেই প্রচন্ড অভিমান হয়েছে রতনের। তাই মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন তিনি। তিনি প্রার্থী হচ্ছেন মমতার ভ্রাতৃবধূর বিরুদ্ধেই।
২০০০ সালে ৭১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রথমবার তৃণমূলের প্রতীকে দাঁড়ান রতন। পরে ২০০৫ সালে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে সরিয়ে আনা হয় তাঁকে। তারপর ২০০৫, ২০১০ ও ২০১৫ সালে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের ওয়ার্ড থেকেই কাউন্সিলর হন তিনি। কিন্তু এবার আশানুরূপ কিছু হল না তাঁর জন্য। রতন এখনও বুঝেই উঠতে পারছেন না কেন তাঁকে প্রার্থী করা হল না। অথচ তিনিই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওয়ার্ডে বিদায়ী কো-অর্ডিনেটর। পাশাপাশি, বোরো-৯-এর চেয়ারম্যানও তিনি। তবে এখন তিনি নির্দল প্রার্থী। আর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি জানিয়েছেন, কারোর বিরুদ্ধে তিনি কিছুই বলতে চান না। উল্লেখ্য, ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন কলকাতার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই এই ভোটে টিকিট পাননি। তৃণমূল মনে করছে, সাময়িক অভিমানের বশেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
তবে আপাতত চলতি মাসে পুরভোট হবে কিনা তা নিয়ে এখনও জটিলতা রয়েছে কারণ ইতিমধ্যেই নির্বাচন স্থগিত করার আবেদন জানানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মূলত বিজেপি এর চরম বিরোধিতা করে দাবি করেছে যে নির্বাচন কমিশন রাজ্যের চাপে পড়ে আদালত অবমাননা করেছে। এই প্রেক্ষিতে এখন কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেটাই দেখার।