কলকাতা: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গ রাজনীতিতে ‘রাম’ এবং ‘দুর্গা’ দুই নামই পেয়েছে রাজনৈতিক তাৎপর্য। একদিকে যখন ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগানের মাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছেন বিজেপি নেতারা, অন্যদিকে তখনই বাংলা ও বাঙালির দুর্গাপুজোর আবেগকে পাল্টা হাতিয়ার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাম এবং দুর্গার এই সাম্প্রতিক ‘বিরোধ’ প্রসঙ্গেই এবার মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন- “ভালো মানুষ খারাপ দলে ফেঁসে গিয়েছিলেন”, দীনেশ ত্রিবেদীর ইস্তফা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ
কলকাতাতে আয়োজিত হয়েছে জনপ্রিয় সংবাদ সংস্থা ইন্ডিয়া টুডের কনক্লেভ ইস্ট ২০২১ (India Today Conclave East 2021)। এই বিতর্ক সভার দ্বিতীয় দিনেই রাম বনাম দুর্গার সাম্প্রতিকতম উত্থান নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের তর্কযুদ্ধে সরগরম হয়ে উঠেছিল পরিস্থিতি। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ ছাড়াও এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন শাসক ও বিরোধী শিবিরের একাধিক হেভিওয়েট নেতৃবৃন্দ। রাম বনাম দুর্গার প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানান রাম এবং দুর্গার কোনো তুলনাই হয় না।
এদিনের বিতর্কের শুরুতেই গেরুয়া দলের উদ্দেশ্যে তীব্র আক্রমণ শানান তৃণমূল নেত্রী কাকলি ঘোষ দস্তিদার। বাংলার মানুষের অভিভাবক হিসেবে রাম কবে উঠে এল, সেই প্রশ্নই তোলেন তিনি। জবাবে দিলীপ ঘোষ জানান রাম একজন রক্ত মাংসের মানুষ এবং মা দুর্গা ঈশ্বর। তাঁদের দুজনের তুলনা হয় না। তবে রামরাজ্য বলতে যে আদর্শ শান্তিপূর্ণ সুশৃঙ্খল শাসনব্যবস্থাকেই বোঝানো হয় সে কথাও জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
এখানেই শেষ নয়, বিজেপির রাজ্য সভাপতি এদিন আরো বলেন, “তৃণমূল যতই রামকে বহিরগত বলুক, রামচরিত মানস বহু বছর আগে বাংলাতেই রচিত হয়েছিল।” এছাড়া, মুখে দুর্গাপুজোর কথা বললেও তৃণমূল সরকারই যে এ রাজ্যে মা দুর্গার ভাসানে বাঁধা দেয় সে কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- ইস্তফা দিতেই দীনেশকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিজেপি! ‘নতুন বাংলা’ গড়ার ডাক
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে এক জনসভা থেকে বিজেপির হিন্দুত্ববাদী অবস্থানকে তীব্র আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার আবেগকে হাতিয়ার করে সরাসরি তিনি প্রশ্ন তোলেন, “বিজেপি দুর্গাপুজো লক্ষ্মীপুজো সরস্বতী পুজো কিছুই জানে না, ওরা কীসের হিন্দু?” সেই থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে দুর্গার প্রাসঙ্গিকতা বেড়ে গেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
Aa