বোলপুর: দুয়ারে কড়া নাড়ছে বিধানসভা নির্বাচন। আর তাই রীতিমতো কোমর বেঁধে প্রচারে নেমেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক দলগুলি। তৃণমূল হোক বা বিজেপি, ভোট পূর্ববর্তী রাজনৈতিক আক্রমণ প্রতি-আক্রমণের খেলায় এ বলে আমায় দেখ, ও বলে আমায় দেখ। এদিন আরো একবার প্রাক্তন তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বন্দ্বের মধ্যে দিয়ে সেই টক্করেরই সাক্ষী থাকল বাংলা।
ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের একের পর এক নেতা দলনেত্রীর ছত্রছায়া থেকে বেরিয়ে নাম লিখিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। এদিন কালনার জনসভা থেকে সেই সমস্ত ‘বিশ্বাসঘাতক’ নেতাদের উদ্দেশ্যে নতুন করে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন “দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো।” তারাপীঠের দলীয় জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যেরই পাল্টা জবাব দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী তথা বর্তমান বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘাস-পদ্মের এই টক্করে রীতিমতো জমে উঠেছে বাংলার নির্বাচনী লড়াই।
এদিন বীরভূমের তারাপীঠ থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পাল্টা হিসেবে বলেন তৃণমূলের গোয়াল একদিন একেবারেই ফাঁকা হয়ে যাবে। “আমাদের মাননীয়া নেত্রী একটা বক্তব্য রেখেছেন। বলেছেন দুষ্টু গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভালো। আর আমি আজ দায়িত্ব নিয়ে বলে গেলাম, একটা দিন এমন আসবে দেখবেন যেদিন আপনার ওই গোয়ালে একটা গরুও থাকবে না”, বলেন তিনি।
এখানেই শেষ নয়, তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেই সকলের পাপ ধুয়ে যায়, এদিন তা নিয়েও প্রাক্তন নেত্রীকে কটাক্ষ করেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। “ছত্রধর মাহাতো জেল থেকে বেরোনোর পর কোন ওয়াশিং মেশিনে সাদা হয়ে গেল?” প্রশ্ন করেছেন তিনি। তৃণমূলের বড় ওয়াশিং মেশিনে একসময়ের ‘দেশদ্রোহী’ বিমল গুরুংও এখন শুদ্ধ হয়ে গিয়েছেন, ব্যঙ্গ রাজীব বাবুর। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় শিবির পরিবর্তন করে যোগ দেন বিজেপিতে। তৃণমূল ছাড়ার সময় তাঁর চোখে জলও দেখা যায়। এমনকি তৃণমূল নেত্রীর ছবি হাতে নিয়েই বিদায় নিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।