‘যেটুকু বলা হবে সেটুকুই করব, ব্যক্তি স্বাধীনতা থাকবে না?’ প্রশ্ন রাজীবের

‘যেটুকু বলা হবে সেটুকুই করব, ব্যক্তি স্বাধীনতা থাকবে না?’ প্রশ্ন রাজীবের

কলকাতা: ফেসবুক লাইভ করে সাধারণ মানুষের কাছে বক্তব্য রাখতে চলেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকদিন আগে এই খবর জানতে পেরেই উৎসাহ দেখিয়েছিল বঙ্গবাসী। কারণ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। অবশেষে ফেসবুক লাইভে এসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্ন করলেন তিনি। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, দলে যেটুকু বলা হবে সেটুকুই কি করতে হবে, নিজের স্বাধীনতা কি থাকবে না?

এদিন নির্ধারিত সময় অনুযায়ী দুপুর তিনটার সময় ফেসবুক লাইভে আসেন রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। লাইভে এসে তিনি নিজের কাজ এবং রাজ্যের সম্পদ সম্পর্কে একদিকে যেমন ব্যাখ্যা দিয়েছেন, অন্যদিকে দলীয় স্তরে কাজ করতে তার আদতে কি সমস্যা হচ্ছে সে ব্যাপারেও ইঙ্গিত দিয়েছেন। রাজীব জানিয়েছেন, তার কাছে মানুষ সবার আগে, মানুষের জন্য কাজ করতেই তিনি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন এবং সারাজীবন সেটাই করে যাবেন। যখন তিনি মানুষের জন্য কোন কাজ করে সাফল্য পান তখন প্রচন্ড আনন্দিত হন। কিন্তু অনেক সময় কাজ করতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হতে হয়েছে তাকে এমনটাও এ দিন জানান তিনি। এই প্রসঙ্গে রাজীব মন্তব্য করেন, অনেক সময় তার কোনো বক্তব্য অন্যভাবে অন্যজনের কাছে ব্যক্ত করা হয়, সে ব্যাপারে তখন অনেক আলোচনা হয়। কিন্তু যখন তিনি কোন কাজ করেন বা নিজের বক্তব্য রাখার চেষ্টা করেন তখন সেই নিয়ে আলোচনা হয় না। তার কথায়, দল যেটুকু বলে দেবে সেটুকুই কি করতে হবে, নিজের একটুও স্বাধীনতা কি থাকবে না। এমনই প্রশ্ন তোলেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, সময় মত যদি ভুল শুধরে না নেওয়া যায়, সময়মতো যদি ভুল স্বীকার করে নেওয়া না হয়, তাহলে পরবর্তী ক্ষেত্রে মানুষের সঙ্গে আরও বেশি দূরত্ব তৈরি হয়ে যাবে। শুধু একবার নয়, এই কথা তুমি বারবার বলে এসেছেন। তাই এ ব্যাপারে যদি কেউ তাকে ভুল বোঝে তাহলে তার কিছু করার নেই বলে জানান রাজীব। 

একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, এই রাজ্যে যে সম্পদ, যে দক্ষতা এবং যে শিক্ষা রয়েছে, তা দেশের বেশিরভাগ রাজ্যে নেই। কিন্তু কিছু সমস্যা থাকার জন্য রাজ্যের বাইরে কাউকে পড়তে বা চাকরি করতে যেতে হচ্ছে। অনেকে হয়তো চাকরির ইন্টারভিউতে কিভাবে তৈরি হয়ে যেতে হবে সেটা বুঝতে পারছে না, পরীক্ষার প্রস্তুতি কিভাবে নেবে বুঝতে পারছে না, সেই কারণে সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই তিনি বিনামূল্যে কোচিং সেন্টার শুরু করেছেন সরকারি চাকরি প্রার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতির সুবিধার জন্য। তিনি আজীবন মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন। সেই কারণেই রাজনীতির ময়দানে এসেছেন। সেখান থেকেই বৃহত্তর অভাবে মানুষের স্বার্থে কাজ করে যাবেন বলে এ দিন জানান রাজ্যের মন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − thirteen =