কলকাতা: বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই ‘বেসুরো’ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁকে নিয়ে রাজনীতির অলিন্দে জল্পনা এখন তুঙ্গে৷ যে সকল দলবদলুরা ফের প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁদের মধ্যে ডোমজুড়ের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উঠে এসেছে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে৷ এরই মধ্যে জল্পনা উস্কে বৃহস্পতিবার মুকুল রায়ের বীজপুরের বাড়িতে কৃষ্ণা রায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে পৌঁছলেন তিনি৷ যা জল্পনার আগুনের নতুন করে ঘি ঢালল৷
আরও পড়ুন- মিশন ’২৪ এর লক্ষ্যে ‘খেলা শুরু’, মমতার আগেই দিল্লিতে এবার অভিষেক
বিধানসভা ভোটে বিজেপি’র ভরাডুবির পর থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ যদিও মুকুল রায়ের স্ত্রীর শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে তাঁর এই উপস্থিতির সঙ্গে রাজনৈতিক যোগ মানতে নারাজ প্রাক্তন বনমন্ত্রী৷ বরং তাঁর বক্তব্য, ‘‘ মুকুল দা’র সঙ্গে অনেক দিনের পরিচয়৷ বৌদিকেও চিনতাম৷ ওঁনাকে হাসপাতালেও দেখতে গিয়েছিলাম৷ এখানে এসেছি শুধুমাত্র তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করতে৷’’ এদিন রাজনীতি নিয়ে একটি বাক্যও খরচ করেননি রাজীব৷ তবে তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা, ‘রাজনীতিতে কখনও কখনও চুপ করে থাকতে হয়৷’’
আরও পড়ুন- কয়লাকাণ্ডে অভিযুক্ত রাজ্যের ৭ আইপিএসকে সরানোর দাবি শুভেন্দুর!
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কৃষ্ণা রায়৷ এর পর করোনা পরবর্তী নানা জটিলতা তৈরি হয়৷ তাঁর ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় চেন্নাই৷ কিন্তু তাঁর আগেই ৬ জুলাই মারা যান কৃষ্ণা রায়৷ গতকাল ছিল তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত, সুনীল সিং, সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে মুকুল রায়ের বাড়িতে রাজীব, সুনীল ও সব্যসাচীর এই উপস্থিতির সঙ্গে রাজনীতির রং মেলাতে চাননি শুভেন্দু অধিকারীও৷ তাঁর কথায়, ধর্মীয় বা শ্রাদ্ধানু্ষ্ঠানে যে কেউ যেতে পারে৷ এর মধ্যে রাজনীতি নেই৷