মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুপস্থিত রাজীব, দলের অন্দরে ভাঙনের আশঙ্কা!

কলকাতা: শুভেন্দুর পথে হাঁটতে চলেছেন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও? জল্পনা তেমনই। কারণ গতকাল নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ছিলেন না তিনি। তার পর থেকেই উঠছে জল্পনা। সম্প্রতি এই ব্যাপারে মুখ খুললেন রাজীববাবু। বললেন, তিনি ব্যক্তিগত কারণে থাকার জন্য বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি।

কলকাতা: শুভেন্দুর পথে হাঁটতে চলেছেন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও? জল্পনা তেমনই। কারণ গতকাল নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ছিলেন না তিনি। তার পর থেকেই উঠছে জল্পনা। সম্প্রতি এই ব্যাপারে মুখ খুললেন রাজীববাবু। বললেন, তিনি ব্যক্তিগত কারণে থাকার জন্য বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি।

তিনি ২০২১-এর ভোটের কথাও তোলেন এদিন। বলেন, নির্বাচন শিয়রে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের সাংগঠনিক পর্যালোচনা কাজ জোরকদমে চলছে। তবে তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে বিশেষ কিছু আর বলেননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের বৈঠকে শুধু যে তিনিই অনুপস্থিত ছিলেন তা নয়। শুভেন্দু অধিকারি এবং উত্তরবঙ্গের আরও দুই মন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন না বৈঠকে। তাঁরা হলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং গৌতম দেব। তবে তাঁদের অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনা হয়নি তার কারণ তাঁরা দুজনেই করোনা আক্রান্ত। তবে মন্ত্রিসভার এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ রাজ্যের অন্য মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, তৃণমূলের অন্দরে ভাঙনের কথা শোনা যাচ্ছে। সম্প্রতি হুগলি জেলা তৃণমূলের নতুন জেলা কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়। সেখানে সিঙ্গুর ব্লকের সভাপতি মহাদেব ঘোষকে সরিয়ে গোবিন্দ ধারাকে নতুন ব্লক সভাপতি নিযুক্ত করা হয়েছে। এই নিয়েই বিক্ষুব্ধ রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। সাংবাদিক বৈঠক করে সিঙ্গুরের বিধায়ক স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “কমিটির সিদ্ধান্ত যদি কর্তৃপক্ষ পুনর্বিবেচনা না করে তবে অন্য দলে যেতে পারি কিনা সেটা চিন্তা করতে হবে।” এরপর বিধায়ককে ক্ষোভের কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, “কেউ কেউ অন্যায় করেও দলের পরিচালক হতে পারে। অথচ আমরা যারা দুর্নীতির সঙ্গ যুক্ত নই, তাদের দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হল। দল আমার প্রতি সম্মান দেখালেও শেষ মুহূর্তে যেভাবে সমস্ত কিছু থেকে বঞ্চিত করে সরিয়ে দেওয়া হল তারপর প্রয়োজন হলে দল পরিবর্তন করা আমাদের চিন্তার মধ্যে রয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four + sixteen =