কলকাতা: দীর্ঘ কয়েক মাসের জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ মন্ত্রিত্ব পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তী ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজের সিদ্ধান্তের আসল কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। যদিও বারংবার তিনি দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তিনি চির কৃতজ্ঞ। তিনি সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করার যে সুযোগ পেয়েছেন তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে দিয়েছেন। যদিও বিগত এক মাসে তার কিছু সহকর্মী এবং সহযোদ্ধা যেভাবে তাঁকে আঘাত দিয়েছেন সেটা তিনি মেনে নিতে পারেননি বলে এদিন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি।
এদিন রাজীব বলেন, যখন তাঁকে না জানিয়ে তার দফতর বদল করা হয়েছিল তার পরেই তিনি ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে নিরস্ত করেছিলেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে তিনি নিজের মনের ভেতর অনেক ক্ষোভ রেখে কাজ করছিলেন সেগুলো সামনে আনেননি। কিন্তু বিগত এক মাসে তার কয়েকজন সহযোদ্ধা’ এবং সহকর্মী যেভাবে তাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন সেটা তিনি কিছুতেই মানতে পারেননি। রাজীবের কথায়, তিনি প্রচণ্ড আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন এবং হয়তো সেই আঘাত থেকেই এই কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন না হলে তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত এখন হয়তো নিতেন না। এই কথা বলতে বলতেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। তবে বারবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রাজীব। এমনকি তার রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় অবদান রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ কথা স্বীকার করে নেন তিনি। তবে দফতর বদল এর সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সৌজন্যতা আশা করেছিলেন বলেও জানান তিনি।
সেচমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁকে আচমকা পদ থেকে সরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বনমন্ত্রী করা হয় তাঁকে। কিন্তু যেভাবে তাঁর পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে সেটা কখনোই মেনে নিতে পারেননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, দলের কর্মীদের সঙ্গে তিনি যখন বৈঠক সেরে বসেছেন তখন টিভিতে তাঁকে দেখতে হয়েছে তার মন্ত্রিত্ব চলে গেছে। দফতর বদলানো হয়েছে তাঁর। এই প্রসঙ্গে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তিনি ন্যূনতম সৌজন্যতা আশা করেছিলেন। ভেবেছিলেন তাঁকে হয়তো ব্যক্তিগত ভাবে জানানো হবে, কিন্তু সেটা হয়নি। সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে তাঁকে জানতে হয়েছে তাঁর নির্দিষ্ট দফতরের পদ চলে গিয়েছে। এই ব্যাপারটাই মানতে পারেননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।