মানভঞ্জন অনেক দূর! বিধানসভার প্রথম অধিবেশনে অনুপস্থিত রাজীব-প্রবীর

মানভঞ্জন অনেক দূর! বিধানসভার প্রথম অধিবেশনে অনুপস্থিত রাজীব-প্রবীর

কলকাতা: বারবার বেসুরা হয়ে দলকে বিড়ম্বনায় ফেলেছেন বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। বেসুরা হওয়া দল ভালোভাবে নেয়নি। তবে মানভঞ্জন যে এত সহজে হবে না তার ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় বিল আনা হবে। আজই বিধানসভার প্রথম অধিবেশনে অনুপস্থিত ছিলেন এই ২ বিধায়ক। 

কিছুদিন আগেই বন মন্ত্রীর পদ ত্যাগ করেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের সামনে দাবি করেছেন তাঁর সঙ্গে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই খারাপ ব্যবহার করছে দলের একাংশ, অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিছু সিদ্ধান্তে তিনি আঘাত পেয়েছেন। যদিও এখনো পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেস দল ত্যাগ করার কথা তিনি বলেননি। তবে জানিয়ে দিয়েছেন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ডোমজুড় থেকেই লড়াই করবেন, বাংলার অন্য কোন জায়গা থেকে নয়। যদিও কোন দলে যোগ দেবেন না দেবেন কিনা সে ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোন মন্তব্য করেননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাকে নিয়ে জল্পনার মধ্যেই গতকাল নিজের দুটি পদ ছেড়েছেন উত্তরপাড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। তিনিও বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেছেন, দলের একাংশ চাইছে তিনি হেরে যান। এদিকে নিজেকে দলে ব্রাত্য মনে করছেন তিনি। পরবর্তী ক্ষেত্রে তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেস শোকজ করেছে। এই পরিবেশের মধ্যে যেদিন বিধানসভার প্রথম অধিবেশনে অনুপস্থিত দুজন বিধায়কই। তাহলে দূরত্ব কি মেটার নয়, প্রশ্ন উঠে গিয়েছে ইতিমধ্যে। 

গতকাল প্রবীর ঘোষাল জানান, পদত্যাগ করার কথা আগেই তিনি ভেবেছিলেন কিন্তু এলাকার মানুষের কথা ভেবে দেননি। তবে এখন দলে থাকা যুক্তিযুক্ত মনে করছেন না বলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রবীর ঘোষাল। তাঁর কথায়, দলের মধ্যেই যদি কেউ ব্রাত্য হয়ে যায় তাহলে দলের সঙ্গে থাকা কখনোই যুক্তিযুক্ত নয়। তাই বিগত কয়েকদিন ধরে বেসুরো থাকার পর অবশেষে জেলার তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য পদ এবং জেলা তৃণমূলের মুখপাত্রের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি। অন্যদিকে, সূত্রের খবর, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টায় তাঁকে ফোন করেছেন তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা। অনুরোধ জানান হয়েছে, আপাতত যাতে তিনি দল না ছাড়েন।আরও জানা যাচ্ছে, তিন মাস পর্যন্ত তাঁকে অপেক্ষা করার অনুরোধ করা হয়েছে দলের তরফ থেকে! যদিও এখনও পর্যন্ত সরাসরি শাসক দলের কারোর পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে মন্তব্য করা হয়নি, প্রতিক্রিয়া দেননি রাজীব বন্ধোপাধ্যায় নিজেও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − four =