rajbhavan
কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারের তরফে আগে থেকেই পুজো উদ্যোক্তাদের ‘বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান’ দেন। এই বিষয়টি নিয়ে সকলে অবহিত। কিন্তু এবার রাজভবনের তরফেও এমন কিছু আয়োজন করা হচ্ছে যা এই বিষয়টির মতোই। আর তাতেই রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের আবহ আরও তীব্র। হ্যাঁ, দুর্গা পুজো নিয়েও নবান্ন-রাজভবন টক্কর বঙ্গে।
জানা গিয়েছে, এবার ‘দুর্গাভারত সম্মান’ দিতে উদ্যোগী হয়েছেন খোদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বুধবার রাজভবনের তরফে একথাই জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই মনোনয়নও চেয়ে পাঠানো হয়েছে একাধিক পুজো কমিটির কাছ থেকে। রাজভবনের বিবৃতি অনুযায়ী মোট ১১টি বিভাগে পুরস্কৃত করা হবে পুজোগুলিকে। একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, তিনটি বিভাগে ‘দুর্গাভারত সম্মান’কে ভাগ করা হয়েছে যার পুরষ্কার মূল্যও আলাদা। বিবৃতি অনুযায়ী, ‘দুর্গাভারত পরম সম্মান’ প্রাপক পুরস্কারে আছে ১ লক্ষ টাকা। ‘দুর্গাভারত সম্মান’ প্রাপক পাবেন ৫০ হাজার টাকা এবং ‘দুর্গাভারত পুরস্কার’ প্রাপককে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। কিন্তু হঠাৎ কেন রাজভবন এমন সিদ্ধান্ত নিল পুজো আবহে তা কেউ বুঝে উঠতে পারছেন না।
রাজভবন জানিয়েছে, বিজ্ঞান এবং ইঞ্জিনিয়ারিং, বাণিজ্য এবং শিল্প ছাড়াও চিকিৎসা, সাহিত্য, খেলা, সাংবাদিকতা সহ বিভিন্ন বিভাগে এইসব পুরষ্কার দেওয়া হবে। কিছু সময় আগেই UNESCO বাংলা তথা কলকাতার দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। সেই সময়ে এমন ঘোষণা করেনি রাজভবন। কিন্তু এখন আচমকা কেন এই ঘোষণা তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।