কলকাতা: আগামী ১৮ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে এই সুপার সাইক্লোন সৃষ্টি হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু শেষ কিছুদিন ধরেই পাহাড়ে নাগাড়ে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আগে থেকেই দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে কমলা সতর্কতা এবং কালিম্পং, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুরে জারি করা হয়েছিল হলুদ সতর্কতা। সিকিমেও প্রবল বৃষ্টির ফলে জায়গায় জায়গায় ধস নেমেছে। তবে এখন জানা গেল, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমেছে উত্তরে। দার্জিলিং-সহ আশপাশের এলাকার মানুষ আরও বেশি স্বস্তি পাচ্ছেন কারণ তিস্তার জলও কমেছে আগের তুলনায়।
আরও পড়ুন- বঙ্গের কোভিড গ্রাফ ফের উঠল, সুস্থতা কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে
এতদিন ধরে পাহাড়ে লাগাতার ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। ধস এবং নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ার কারণে পর্যটকদের চিন্তা বাড়ছিল। এছাড়াও পাহাড়ের মানুষদের জীবন নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছিল। কিন্তু হাওয়া অফিস এখন জানিয়েছে, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই সিকিম সহ উত্তরবঙ্গের অন্যত্র। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এক কথায় বলা যায়, মেঘ কাটিয়ে রোদ এখন আর উঠবে না পাহাড়ে। পরবর্তী কিছুদিন দিন মেঘলা আকাশই দেখতে হবে পাহাড়বাসীকে।
মনে রাখা দরকার, দক্ষিণবঙ্গের দিকে আগামী সপ্তাহে ধেয়ে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’। এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তা সরাসরি আঘাত হানতে পারে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে। ঝড়ের গতি ঘণ্টায় ২০০ কিমি পর্যন্ত ছুঁতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে। এটা যদি হয় তাহলে কালীপুজোতে বৃষ্টি হওয়ারই প্রবল সম্ভাবনা। কারণ আপাতত বর্ষা বিদায়ের কোনও সম্ভাবনা রাজ্যে নেই।