পুজোয় ভাসতে পারে তিলোত্তমা, কী বলছে হাওয়া অফিস?

কলকাতা: পুজোয় এবার ভাসতে পারে তিলোত্তমা। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। আশঙ্কা করা হচ্ছে পুজোর চারদিনই বৃষ্টি হতে পারে। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। তার অভিমুখ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের বদলে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। এই নিম্নচাপের জেরে ভারী বৃষ্টি হতে পারে রাজ্যে।

কলকাতা: পুজোয় এবার ভাসতে পারে তিলোত্তমা। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। আশঙ্কা করা হচ্ছে পুজোর চারদিনই বৃষ্টি হতে পারে। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। তার অভিমুখ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের বদলে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। এই নিম্নচাপের জেরে ভারী বৃষ্টি হতে পারে রাজ্যে।

মঙ্গলবার মধ্য বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে সেটি ক্রমে শক্তিশালী হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে নিম্নচাপটি প্রথমে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে যাবে, তারপর ধীরে ধীরে সেটি উত্তর-পূর্ব দিকে এগোবে। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকবে নিম্নচাপ। যার জেরে ষষ্ঠী থেকে চার দিন চার জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃহস্পতিবার, ষষ্ঠীর দিন উত্তর-দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও দুই মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, নিম্নচাপ রাজ্যের খুব কাছে চলে এলে তবেই সপ্তমী থেকে দশমীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা। আর তা না হলে শুধু ষষ্ঠীতেই ভিজবে শহর।

বৃষ্টির পূর্বাভাসের পর প্রস্তুতি নিচ্ছে পুজো কমিটিগুলি। এ বছর হাই কোর্টের রায়ের ফলে যদিও মণ্ডপে দর্শনার্থীদের সমাগম হবে না। কিন্তু তাও উদ্যোক্তাদের মণ্ডপ বাঁচাতে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। স্থানীয় পুরসভাও এদিকে নজর দিয়েছে। তবে এ বছর যাতে বৃষ্টি হয়, তার জন্য প্রার্থনাও করছেন অনেকে। কারণ বৃষ্টি হলে মানুষ রাস্তায় বের হবে কম। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কাও কমবে। পশ্চিমবঙ্গে করোনার সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। বিভিন্ন জায়গায় গোষ্ঠী সংক্রমণও হচ্ছে। ফলে আতঙ্কও বাড়ছে। তবে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছে। কিন্তু হাইকোর্টের দর্শনার্থী শূন্য মণ্ডপের রায়ের পুনর্বিববেচনার আর্জি জানিয়েছিল পুজো কমিটিগুলি। বুধবার তার পরিপ্রেক্ষিতে রায় দিয়েছে উচ্চ আদালত।

আগের নির্দেশ বহাল রেখে বিধিনিষেধে কিছুটা সরল করেছে আদালত৷ আজ আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, মণ্ডপ নো-এন্ট্রি থাকবে৷ তবে, নো-এন্ট্রি জোনে পুজোর আচার-অনুষ্ঠান চলতে পারে৷ পুরোহিত, ঢাকি ও পুজোর উপাচারে যুক্ত ব্যক্তিরা অংশ নিতে পারেন৷ তবে, তার জন্য রয়েছে কিছু শর্ত৷ বড় মণ্ডপে সর্বাধিক ৬০ জনের প্রবেশাধিকার থাকবে৷ তবে একসঙ্গে ৪৫ জন প্রবেশ করতে পারবেন না৷ ৩০০ বর্গমিটারের কম মণ্ডপে ১৫ জনের বেশি প্রবেশে করা যাবে না৷ একসঙ্গে ১০ জন ঢুকতে পারবেন না৷  প্রতিদিন তালিকা বদল করা যাবে৷ স্থানীয় বাসিন্দা ও পুজো উদ্যোক্তারা এই তালিকায় থাকতে পারবেন৷ প্রয়োজনে সেই তালিকা দিনে দিনে বদল করা যাবে৷ এদিনের শুনানিতে সিঁদুর খেলার কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি৷ করোনা বিধি পালনের উপর সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়৷ করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে দর্শকশূন্য পুজো করার পক্ষেও আরও একবার নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 1 =