কলকাতা: পুজোয় অষ্টমী থেকে দশমী বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। সেই খবর শুনে ব্যাপক মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল বাঙালির। একে করোনার খাঁড়া, অন্যদিকে বৃষ্টি, সব মিলিয়ে একদম যেন বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল রাজ্যবাসী। সেই মন খারাপ আপাতত থাকবেই। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, ১৩ অক্টোবর অর্থাৎ আগামী বুধবার পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও উত্তর আন্দামান সাগরে নিম্নচাপ তৈরি হবে। তার ফলেই হবে বৃষ্টিপাত।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, এই নিম্নচাপ ১৫ অক্টোবর দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলে পৌঁছবে। এর প্রভাবে অষ্টমীর দিন বিক্ষিপ্তভাবে দু-এক জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই বৃষ্টির পরিমাণ সামান্য বাড়বে নবমী ও দশমীতে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরে। শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। রবি ও সোমবার ভারী বৃষ্টির সর্তকতা দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া দফতর।
অন্যদিকে আরও জানান হয়েছিল, উৎসবের পরেই রাজ্যে হানা দিতে পারে ঘূর্ণিঝড়! লক্ষ্মীপুজোর আগে প্রবল ঝড়ের আশঙ্কা। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বা তার বেশি বেগে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। এর ফলে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হতে পারে রাজ্যের দুই মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা। আবার সুন্দরবন এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ভীষণভাবে বলে মনে করা হচ্ছে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, থাইল্যান্ডে স্থলভাগের ওপরে সৃষ্টি হবে এই ঘূর্ণাবর্ত যা আগামী ১৩ অক্টোবর বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করতে পারে। যার ফলেই ১৫ অক্টোবর সেটি ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিয়ে লক্ষ্মীপুজোর আগেই রাজ্যে প্রবেশ করবে এবং পূর্ব মেদিনীপুরে আঘাত হানতে পারে। একই সঙ্গে অনুমান, ওড়িশা উপকূলেও বড় রকমের প্রভাব ফেলবে এটি। ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা তো রয়েছেই, পরবর্তী ক্ষেত্রে হাওয়ার গতিবেগ ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টাও হতে পারে।