কলকাতা: পুজোর আনন্দ ইতিমধ্যেই ফিকে করে দিয়েছে করোনা মহামারী৷ তাও, জীবনের ঝঁকি নিয়ে চলছে উৎসবের প্রস্তুতি৷ করোনা আবহে উৎসব কি খুব দজরুরি? মামলা গড়িয়েছে আদালতে৷ পুজোয় সরকারি অনুদানেও ধাক্কা দিয়েছে হাইকোর্ট৷ করোনাকালে বাঙালির প্রাণ উৎসব পালন ঘিরে পক্ষে-বিপক্ষে নানান যুক্তি থাকলেও শেষ মুহূর্তে প্রায় মাটি হতে বসেছে পুজোর আন্দন৷ সৌজন্যে, বিদায় বেলায় বর্ষা৷
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, শারদ আনন্দে জল ঢালতে তৈরি হচ্ছে নিম্নচাপ৷ আর তার জেরে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বাংলায়৷ চলতি সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরির হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷ নিম্নচাপ তৈরি হলে তা প্রভাব পড়বে বাংলায়৷ নিম্নচাপের হাত ধরে পুজোর দিনগুলিতে বাংলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে৷
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী সোমবার বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে৷ নিম্নচাপের অভিমুখ ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলের থাকলেও প্রভাব পড়বে বাংলায়৷ আগামী বুধবার থেকে ২৬ তারিখ পর্যনন্ত বৃষ্টি বাড়বে বাংলায়৷ আগামী ২২ অক্টোবর ষষ্ঠী থেকে ২৪ তারিখ দশমী পর্যন্ত বৃষ্টির আবহে চলবে এবারের উৎসব৷ করোনা আবহে দুর্গোৎসবে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা আগেই করেছিলেন চিকিৎসকদের একাংশ৷ বহু পুজো কমিটি দুর্গা পুজোর আয়োজন করলেও দর্শক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে৷ ফলে, এবার উৎসবে শেষ মুহূর্তে বাধ সাধছে বিদায় বেলার বর্ষা, সঙ্গে নিম্বচাপ৷
বৃষ্টির পূর্বভাসের পাশাপাশি ভ্যাপসা গরম জারি থাকবে বলে আগে জানিয়েছে হাওয়া অফিস৷ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের কারণে গরম বাড়ছে বলে খবর৷ নিম্নচাপের শক্তি বৃদ্ধির কারণে সমুদ্র থেকে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প টেনে নিচ্ছে৷ ফলে দখিনা বাতাস রাজ্যের অভিমুখে আসছে না বলেই তৈরি হচ্ছে সমস্যা৷
দক্ষিণ ভারতের উপর এখন যে নিম্নচাপটি রয়েছে, সেটি বুধবার কিছুটা শক্তি হারিয়েছে৷ আর তার প্রভাবে উত্তর কর্ণাটক ও সংলগ্ন অন্ধ্র ও মহারাষ্ট্রের ভারী বৃষ্টি হয়েছে৷ দফায় দফায় নিম্নচাপের কারণে বর্ষার বিদায়ের প্রক্রিয়া গত বেশ কয়েকদিন ধরে থমকে গিয়েছে৷ এখনও গুজরাত থেকে মধ্যপ্রদেশ হয়ে উত্তরপ্রদেশের উপর অবস্থান করছে বর্ষা৷ ফলে, বাংলা থেকে ২৫ থেকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বর্ষা বিদায় নিতে পারে বলে অনুমান করছে হাওয়া অফিস৷ সাধারণত বাংলা থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে বর্ষা বিদায় নিয়ে থাকে৷