সপ্তাহান্তে বৃষ্টি! নিম্নচাপের জেরে ‘উষ্ণতা’ বাড়ছে শীতের

সপ্তাহান্তে বৃষ্টি! নিম্নচাপের জেরে ‘উষ্ণতা’ বাড়ছে শীতের

কলকাতা: দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরের ওপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি হবে তা মোটামুটি পাকা। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী পাঁচ থেকে সাত দিন শীতের আমেজ মাটি হতে পারে বঙ্গে। রাতের দিকে তাপমাত্রা বাড়বে এবং বাকি সারাদিন আংশিক মেঘলা থাকবে আকাশ। আপাতত জানা গিয়েছে, সপ্তাহান্তে বৃষ্টি হতে পারে। 

হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে সপ্তাহান্তে দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাসও মিলেছে। আসলে শীতের পথে বাধা হতে পারে এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝাই। এর কারণেই আগামী কয়েকদিন বাংলায় তাপমাত্রার খুব একটা পতন দেখা যাবে না। আগামী ৪ থেকে ৫ দিন কলকাতার আকাশও মোটের ওপর মেঘলা থাকবে। 

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অতি-গভীর নিম্নচাপ ঘনীভূত হবে। মনে করা হচ্ছে, এর অভিমুখ থাকবে পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিকে।‌ এই গভীর নিম্নচাপ ক্রমেই উত্তর পশ্চিম দিকে সরতে সরতে ডিসেম্বরের শুরুতে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’-এ পরিণত হবে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবেই ধাক্কা খাবে শীত।   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

শুক্রবার থেকে রাজ্যে বৃষ্টি, এটাও কি ‘মোকা’ এফেক্ট

শুক্রবার থেকে রাজ্যে বৃষ্টি, এটাও কি ‘মোকা’ এফেক্ট

কলকাতা: বঙ্গোপসাগরে ঘনিয়ে ওঠা দুর্যোগ নিয়ে এখনও কিছু রহস্য বহাল। মঙ্গলবার থেকেই তার শক্তি আরও বাড়তে পারে এবং বুধবারই সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। কিন্তু ঠিক কোন উপকূলে তা আছড়ে পড়বে তা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী শুক্রবার থেকে রাজ্যে শুরু হবে বৃষ্টি। কলকাতা সহ উপকূলবর্তী ৪ জেলায় বর্ষণের আভাস দেওয়া হয়েছে। তাহলে কি ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র প্রভাবেই এই বৃষ্টিপাত, বাড়ছে জল্পনা। 

দিল্লির মৌসম ভবন ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব দিক হয়ে মায়ানমারের দিকে এগিয়ে যেতে পারে৷ যদিও নিম্নচাপের জেরে ইতিমধ্যেই আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে৷ তবে রাজ্যে বৃষ্টির জন্য এই ঘূর্ণিঝড় দায়ী তা আপাতত বলছে না আবহাওয়া দফতর। তাদের বক্তব্য, ঘূর্ণিঝড় যেহেতু এখনও তৈরিই হয়নি, তাই তার শক্তি এবং গতিপথ নিয়ে মোক্ষম জবাব এখন নেই। কিন্তু এটুকু জানান হয়েছে, শুক্রবার বৃষ্টি শুরু হলে তা টানা তিন দিন অর্থাৎ রবিবার পর্যন্ত চলবে।