কলকাতা: পুরনো খোলনোলচে রেল পরিবহন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে চলেছে ভারতীয় রেলওয়ে। ভবিষ্যতে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের চাপ সামাল দিতেই এই ভাবনা। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জয় কুমার মোহান্তি জানিয়েছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে রেল পরিবহনের কাঠামো মজবুত করতে খুব শিগগিরই একাধিক প্রকল্প রূপায়ণ করা হবে।
ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতমুখী রেলের পরিবহন ব্যবস্থার পরিবর্তনে দক্ষিণ-পূর্ব রেল এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কেন্দ্রীয় বাজেটে উল্লিখিত পণ্য পরিবহনের জন্য দুটি বিশেষ খড়গপুর-বিজয়ওয়াড়া ইস্ট-কোস্ট এবং ভুসওয়াল-খড়গপুর-ডানকুনি ইস্ট-ওয়েস্ট ফ্রেট করিডরের কাজ কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে। ২০২২ সালের মধ্যে এই কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরও জানান, ২০২১-২২ অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেটে যাত্রীদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ানোর উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর সেজন্যই রেল ওভারব্রিজ, সিগনালিং, লেভেল ক্রসিং নির্মানের জন্য বাজেটে ৫০ শতাংশের বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে। বরাদ্দের বাকি অংশ সাঁতরাগাছি, শালিমার ও সাঁকরাইল স্টেশনের উন্নয়নের কাজে লাগানো হবে।
করোনা আবহে ও লকডাউনকালে প্রায় ৬-৭ মাস বন্ধ ছিল ভারতের রেল পরিবহন ব্যবস্থা। অচলাবস্থায় দারুন মন্দার সম্মুখীন হতে হয়েছিল ভারতীয় রেলকে। তবে বর্তমানে কোভিড পরিস্থিতির লকডাউনের মন্দা কাটিয়ে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসা সম্ভব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জয় কুমার মোহান্তি। তার মতে, খুব শিগগিরই রেল ব্যবস্থা লকডাউনের আগের স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে যাবে। ইতিমধ্যেই ৬০ শতাংশ মেল করলেন ও ৭৫ শতাংশ শহরতলীর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।