ময়নাগুড়ি: গতকাল বিকেলে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। প্রাথমিক ভাবে চারজনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল প্রশাসনের তরফে। রাতভর উদ্ধারকাজের পর সেই সংখ্যা আরও খানিকটা বাড়ল৷ এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আহত প্রায় শতাধিক৷ কিন্তু ঠিক কী কারণে এই ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা ঘটল তা এখনও পর্যন্ত আন্দাজ করা যাচ্ছে না। কিন্তু কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর পর্যবেক্ষণ, যান্ত্রিক ত্রুটির জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সকালেই ময়নাগুড়ির দোমহনিতে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ। ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করে তিনি এই কথাই জানিয়েছেন।
এমন দুর্ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই মৃতের সংখ্যা বাড়ার একটা আশঙ্কা থাকে। সেই প্রেক্ষিতে এখনও উদ্বেগ কিছু কম নয়। গতরাতে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানিয়েছিলেন যে, ক্রেনের সাহায্যে দুমড়ে যাওয়া কামরাগুলিকে সরানোর চেষ্টা চলছে। আহতদের ময়নাগুড়ি ও জলপাইগুড়ির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের অনেকেই আশঙ্কাজনক। তাই ক্রমশ চিন্তা বাড়ছে তাদের দিয়ে। তবে দুর্ঘটনার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী স্পষ্ট জানান, যে ইক্যুইপমেন্টগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলি সংগ্রহ করে ভাল করে খতিয়ে দেখা হবে। তবে তিনি নিজে সব খতিয়ে দেখে বুঝেছেন যে, আচমকা যান্ত্রিক ত্রুটির জন্যই এই দুর্ঘটনা।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল, লাইনে সমস্যা থেকেই দুর্ঘটনা, সিগন্যালের কোনও সমস্যা ছিল না। ইতিমধ্যেই গুয়াহাটি-বিকানের এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের ১ লক্ষ টাকা এবং কম আহতদের ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছে রেল৷ জানা গিয়েছে বিকানের থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন ৭০০ জন যাত্রী৷ দুর্ঘটনার সময় রেলের গতিবেগ ছিল ৪০ কিলোমিটার৷ এই দুর্ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে সাইথিয়া, জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার মতো আতঙ্কের স্মৃতি৷