ময়নাগুড়ি: ভয়ানক ট্রেন দুর্ঘটনার কেটে গিয়েছে ২৪ ঘণ্টা। কিন্তু এখনও স্পষ্ট নয় যে কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল। গতকাল রাতেই কলকাতায় পৌঁছন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। রাতেই হাওড়া থেকে বিশেষ ট্রেনে পৌঁছন ময়নাগুড়ি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ বলেন, “আমি নিজে সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখেছি। আচমকা যান্ত্রিক ত্রুটির জেরেই এই দুর্ঘটনা। ক্ষতিগ্রস্ত ইক্যুইপমেন্টগুলি সংগ্রহ করে ভাল করে খতিয়ে দেখা হবে।” তবে রেলের প্রাথমিক তদন্তের পর অনুমান, ইঞ্জিনের ট্র্যাকশন মোটর ভেঙে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মত, বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনে কোনও সমস্যা হয়েছিল। ইঞ্জিনে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি হয়েই বেলাইন হয়ে যায় ট্রেনের অন্তত ১০টি কামরা। অনুমান করা হচ্ছে, এই ট্রেনে যে ইঞ্জিন ছিল তার তলার দিকে লাগানো থাকে চারটি করে ট্র্যাকশন মোটর। মনে করা হচ্ছে, চারটি ট্র্যাকশন মোটরের একটি সম্ভবত বিকল হয়ে খুলে পড়ে যা রেলের ইঞ্জিন ও রেললাইনের মাঝে আটকে যায়। তারপর সেটি ইঞ্জিন ও রেললাইনের ফিশপ্লেটের মাঝে আটকে গিয়ে ঘষা খেতে থাকে। এর কারণেই পরবর্তী ক্ষেত্রে আর এমারজেন্সি ব্রেক কষে লাভ হয়নি। একে একে লাইনচ্যুত হতে থাকে বগিগুলি। ট্রেন দুর্ঘটনার অভিজ্ঞতা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন ওই ট্রেনের লোকো পাইলট। তাঁর কথা শুনলে শিউরে উঠতে হয়।
লোকো পাইলটের কথায়, ”আচমকাই ভীষণ জোড় একটা ঝাঁকুনি লাগে৷ সঙ্গে সঙ্গে এমার্জেন্সি ব্রেক কষি৷ পিছনে কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা বোঝা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না৷ পরে দেখি পিছনের ৬ চাকা লাইনচ্যুত হয়েছে৷ আমি গাড়ি চালাচ্ছিলাম৷ ফলে ট্র্যাকশন মোটর খোলা ছিল কিনা, সেটা জানা আমার পক্ষে কোনওপক্ষেই সম্ভব ছিল না।” ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। চালকের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলছেন তদন্তকারী অফিসাররা। কথা বলেছেন খোদ রেলমন্ত্রী৷