Kanchanjunga Express
কলকাতা: গত শুক্রবার রাতে মালদহ জেলার ভালুকা রোড স্টেশন থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস বেরিয়ে যাওয়ার কিছু পরেই বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। কারণ রেল লাইনের ওপর বড় একটি গর্ত হয়েছিল। কিন্তু এই দুর্ঘটনা ঘটেনি এক পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রের জন্য। তার উপস্থিত বুদ্ধির জেরে বেঁচে যান কয়েক হাজার ট্রেন যাত্রীরা। তাকে এদিন পুরস্কৃত করা হয়েছে রেলের তরফে। তা ভালো কথা। কিন্তু যে টাকা পুরস্কার হিসেবে তাঁকে দেওয়া হল তা নিয়েই বিতর্ক। (Kanchanjunga Express)
ট্রেন এবং তার যাত্রীদের সাহসের সঙ্গে বাঁচানোর জন্য ছোট্ট ছেলেটির পরিবারের একজনকে অন্তত একটা চাকরি দেওয়ার আবেদন নেটিজেনদের তরফে করা হয়েছিল রেলের কাছে। এছাড়া ছেলেটির পড়াশোনার দায়িত্ব নিতেও বলা হয়েছিল। কিন্তু কোথায় কী? ট্রেনের যাত্রীদের বাঁচিয়ে ‘হিরো’ বনে যাওয়া সেই ছেলেটিকে মাত্র ১ হাজার ৫০০ টাকা পুরস্কার দিল রেল! সেই সঙ্গে একটি শংসাপত্র। এই নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছিছিক্কার শুরু হয়েছে। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের কোরিয়ালি গ্রামের ঝাঙ্গরপাড়ায় ছেলেটির বাড়ি গিয়ে এই আর্থিক পুরস্কার তুলে দেন এনএফ রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু।
জানা গিয়েছিল, ট্রেন লাইনের পাশ দিয়ে বাড়ি ফেরার সময়ে ছেলেটির চোখে পড়ে গর্তটি পড়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে তার মনে প্রশ্ন আসে যে, এই গর্তের জন্য ট্রেনের কোনও ক্ষতি হবে কিনা। এরপরই সে নিজের পরনের লাল গেঞ্জি খুলে মাথায় বেঁধে রেল লাইন ধরেই এগোতে থাকে। ওই লাইন দিয়ে আসা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস তাকে দেখেই ধীরে ধীরেই ট্রেন থামিয়ে দেয়।