কলকাতা: ‘তৃণমূল এখন চাল চোর, রেশন চোর’-বক্তা বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা৷ তাঁর বক্তব্য, বিজেপি নেতাদের ত্রাণ দিতে দিচ্ছে না তৃণমূল এবং পুলিশ৷ বিজেপির বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মাজুমদারকে তৃণমূল এবং পুলিশ ত্রাণ বণ্টনে বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন রাজ্য বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা৷ সুকান্তবাবু ত্রাণ নিয়ে হিলি যাচ্ছিলেন৷ রাহুলের মতে, ‘‘রাজ্যে অদ্ভুত রাজ চলছে৷ নিজেরা রেশনের চাল, গম দল চুরি করে ফাঁক করে দিচ্ছে৷ ক্ষুধার্থ মানুষের উপর পুলিশ লাঠি চার্জ করছে৷ তবুও, মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়া যাবে না৷’’
রাহুলের বক্তব্য, তৃণমূল ত্রাণ দিচ্ছে না৷ বিজেপিতে দিতে দিচ্ছে না৷ রেশনের খাবার আত্মসাৎ করে নিয়েছে৷ এর আগে বিজেপির সাংসদ জন বারলাকে ত্রাণ বিতরণ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে৷ রাহুল বলেন, ‘‘তৃণমূলের নাম এখন হয়েছেন চাল চোর তৃণমূল, রেশন চোর তৃণমূল৷ এরা সাধারণ মানুষের মুখের গ্রাসকে কেড়ে নিচ্ছে৷ বিজেপি তীব্র নিন্দা করছে৷’’ কিছুদিন আগেই উল্লেখযোগ্য ভাবে তৃণমূলকে ‘লাশ’ গায়েব করার অভিযোগে জড়িয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ তিনি বলেছিলেন, ‘‘সিপিএমের আমলের নন্দীগ্রামের মত লাশ গায়েব হচ্ছে৷ তৃণমূল করোনার মৃতদের সম্মান তো দিচ্ছেই না, লাশ চুরি করা হচ্ছে৷’’
মূলত, রাজ্যে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি'র ত্রিফলা আক্রমণের মুখে মমতা৷ বাংলার লকডাউন নিয়ে যেমন বামফ্রন্টের বক্তব্য, রাজ্যে লকডাউন উপেক্ষা করে জনতার ভিড় অনেকেরই চিন্তা বাড়িয়েছে৷ মানুষ লকডাউন মান্য করেছিল৷ কিন্তু, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় দরকারের অসভ্যতার জন্য আজ রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছে৷ নীতি ভুল৷ মানুষ নয়৷ রেশন নিয়ে রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে তৃণমূলের বক্তব্য, কেন্দ্র গরিব মানুষের সঙ্গে কার্যত অসভ্যতা করছে৷ একবারে টাকা দিলে ব্যাংকের লাইনে বারবার দাঁড়াতে হত না৷ খোঁজ নিন, লাইন শুধু ব্যাংক, বাজারে আর রেশনে৷
রেশন নিয়ে দিল্লির ঘোষণা এন এফ এসে'র বাইরে পাঁচ কেজি করে চাল, গম বা আটা৷ চিনি ১ কেজি, দু’রকমের ডাল এক কেজি৷ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা৷ রাজ্য সরকার ঘোষণা ৫ কেজি চাল অথবা আটা৷ আলু (পরে যদিও বন্ধ)৷ এটা রেশন নাকি রেশনের বাইরে? তাহলে কেন্দ্র রাজ্য মিলে ১০ কেজি চাল অথবা আটা, ২ কেজি ডাল, ১ কেজি চিনি৷ কিন্তু তা হচ্ছে কী? প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী মিলে যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের একটি পরিবারও পেয়েছে? এরপর রাহুল সিনহার চাল চোর মন্তব্য, বিশেষ তাৎপর্য পেয়েছে৷