হাবরা: শীতলকুচি কাণ্ডের পর প্ররোচনা এবং উস্কানিমূলক মন্তব্য করার জন্য ৪৮ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা ছিল বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহার প্রচারে। সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যেতেই ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি। আবার সেই শীতলকুচি প্রসঙ্গেই। এবার বললেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানো উচিত, কে মরলো, বাঁচলো দেখার দরকার নেই! স্বাভাবিকভাবেই রাহুলের এই মন্তব্যে আবার সরগরম হয়েছে রাজ্য রাজনীতি।
এদিন এক জনসভায় রাহুল বলেন, গুলি চালান নিয়ে তিনি যা বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি সেই কথা বলেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর হামলা হলে আবার গুলি চলবে। এই প্রেক্ষিতেই তিনি মন্তব্য করেন, ”আবার বলছি, কেন্দ্রীয় বাহিনী বা মানুষের ওপর হামলা হলে মানুষকে ভোট দিতে না দিলে, তাদের ওপর আক্রমণ হলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালান উচিত, তাতে কে মরলো, কে বাঁচলো দেখার দরকার নেই।” তিনি আরও বলেন, ঢিল খেলে পাটকেল খেতে হবে। তৃণমূলের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তাঁকে রোখা যাবে না। পাশাপাশি তিনি মনে করিয়ে দেন, নির্বাচন কমিশন তাঁকে প্রচার করতে মানা করেছিল কিন্তু পুজো করতে বা বাজার করতে মানা করেনি। তার জন্য যদি তৃণমূলের ঘুম না হয় তাহলে ওষুধ খাক তারা ডাক্তার দেখিয়ে।
উল্লেখ্যে, নিজের শাস্তি প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেছিলেন যে, তাঁর দোষ না থাকা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন তাঁর উপর এই আদেশ জারি করেছে৷ তবে তিনি গণতন্ত্রকে শ্রদ্ধা করেন৷ সংবিধানকে মান্য করেন৷ নির্বাচন কমিশন গণতন্ত্রেরই একটি স্তম্ভ৷ সে কারণেই কমিশনের আদেশ হতাশাজনক হলেও, তা মাথা পেতে নিয়েছেন৷ তিনি বলেন, এই আদেশ লঘু পাপে গুরুদণ্ড৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কথা বলেছেন, তার পর ওঁনার প্রচারে মাত্র ২৪ ঘণ্টা নিষেধাজ্ঞা করা হয়েছে৷ অথচ তার উপর ৪৮ ঘণ্টা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে তার অপরাধ অনেক কম বলে মনে করেন তিনি৷