কলকাতা: বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস এবং সিপিএম জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করলেও বৃহত্তর পর্যায় দুই দলের সংঘাত যে রয়েছে তা নেতৃত্বের বেশ কয়েকটি মন্তব্য স্পষ্ট করে। কিছুদিন আগেই বিজেপির বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, বিজেপি কখনো সিপিএম মুক্ত ভারতের কথা বলে না। এদিকে রাজ্যের ভোট প্রচারেই আবার কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী মন্তব্য করেছিলেন, সিপিএম স্বৈরাচারী! এবার রাজ্যের ভোট প্রচারে আসতে চলেছেন সেই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা, সাংসদ রাহুল গান্ধী। বিধানসভা ভোটের শেষ দুই দফার জন্য রাজ্য প্রচারে আসতে পারেন তিনি।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, আপাতত দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও রাজ্যে শেষ দুই দফার নির্বাচনে প্রচারে আসতে পারেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। রাজ্যে এখনও দুই জেলায় কংগ্রেস নিজেদের আধিপত্য মোটামুটি বজায় রেখেছে। তাদের মধ্যে একটি হল মালদহ, অন্যটি মুর্শিদাবাদ। তাই মূলত এই দুটি জেলার দিকে নজর দিতে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে রাজ্যে প্রচারে আনতে চলেছে বঙ্গের কংগ্রেস নেতারা। সংযুক্ত মোর্চা জোট নিয়ে টানাপোড়েন কম হয়নি। এখনো কার্যত জোটবদ্ধ দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা চূড়ান্ত পর্যায়ে হয়নি বলেই স্পষ্ট বোঝা যায়। সেই প্রেক্ষিতে কংগ্রেস সাংসদ তথা শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী রাজ্যে প্রচারে আশায় কতটা প্রভাব পড়বে সংযুক্ত মোর্চার প্রচারের তা নিয়ে এখন আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
বিধানসভা ভোটের অনেক আগে থেকেই বাংলায় কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। জনসভা তো দূর, ব্রিগেড মঞ্চেও দেখা যায়নি কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাউকে। তাই এখন নির্বাচনের শেষ দুই দফায় রাহুল গান্ধী প্রচারে এসে কংগ্রেসের পক্ষে কতটা ভালো করতে পারবেন তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে। আরও জানা গিয়েছিল যে বঙ্গের কংগ্রেস নেতারা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেও রাজ্যে প্রচারের জন্য আনতে চেয়েছিল। কিন্তু তাঁর স্বামী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তিনি আপাতত কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। প্রিয়াঙ্কার রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরেও আপাতত এই সময়ে তাঁকে নিয়ে প্রচারে নামতে পারবে না কংগ্রেস নেতৃত্ব।