কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় র্যাগিং নিয়ে এখন জোর আলোচনা। পুলিশ আদালতে স্পষ্ট দাবি করেছে যে, র্যাগিংয়ের কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই প্রথম বর্ষের ছাত্রের। এছাড়া র্যাগিং যে করা হয়েছিল তার প্রমাণও মিলেছে। কিন্তু শুরু কি যাদবপুরে এই ঘটনা? তেমনটা মনে হয় নয়। কারণ ইতিমধ্যেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্বভারতী থেকেও র্যাগিংয়ের অভিযোগ এসেছে। এখন এল কলকাতার এক নামী কলেজ থেকেও। সেখানে অভিযোগ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে।
এবার র্যাগিং নিয়ে অভিযোগ উঠেছে গুরুদাস কলেজ থেকে। দাবি করা হয়েছে, শাসকদলের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক নেতা এক পড়ুয়ার র্যাগিং করেছে। ইতিমধ্যেই ওই ছাত্র সরাসরি ইউজিসির কাছে অভিযোগও জানিয়েছে বলে খবর। ইউজিসি এই ইস্যুতে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে। এছাড়া গাইডলাইন অনুযায়ী পদক্ষেপে করার পাশাপাশি কলেজকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে থানায় এফআইআর দায়ের করতে বলা হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই অভিযুক্ত ছাত্র। তার দাবি, যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যে। রাজনৈতিক কারণে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র র্যাগিংয়ের অভিযোগ করে। তার দাবি, এখানেও ‘ইন্ট্রো’র নামে সিনিয়ররা তাকে দিয়ে নানা কাজ করাত। মদের গ্লাস ধোয়ানো থেকে শুরু করে মদ আনা, তার মেসের খাবার বন্ধ করে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। অন্যদিকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়াকেও হেনস্তা করার অভিযোগ ওঠে ৩ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ উঠতেই নড়েচড়ে বসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।