শান্তিনিকেতনের হেরিটেজ তকমার ফলকে নাম নেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের! নয়া বিতর্কে বিশ্বভারতী

শান্তিনিকেতনের হেরিটেজ তকমার ফলকে নাম নেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের! নয়া বিতর্কে বিশ্বভারতী

226f92702dc99fba8dc9e2e9b8c65dad

 কলকাতা: কবিগুরুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরেই বিশ্বদরবারে পরিচিতি পেয়েছিল শান্তিনিকেতন৷ সম্প্রতি ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পেয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়৷ কিন্তু এর পর যে ফলকটি শান্তিকেতনে বসানো হয়েছে, তাতে কবিগুরুরই নামোল্লেখ নেই৷ যা নতুন করে বিতর্কের শিরোনামে নিয়ে এসেছে বিশ্বভারতীকে।

শান্তিনিকেতনে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ ফলকে দেখা গেল বড় বড় হরফে লেখা রয়েছে আচার্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম। কিন্তু কোথাও নাম নেই রবীন্দ্রনাথের৷ যা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে শিক্ষা মহলে৷ 

শান্তিনিকেতন পরিচিত কবির কর্মভূমি হিসাবে৷  বিশ্বভারতীর চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে একাধিক ঐতিহ্যবাহী ভবন, ভাস্কর্য ও স্থাপত্য৷ প্রাচীন গাছগুলি মাথা তুলে আজও ঐতিহাসিক জমানার সাক্ষ্য বহন করে চলেছে৷

গত ১৭ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের ইউনেস্কোর সমাবেশ থেকে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ তকমা দেওয়া হয়। এই ঘোষণার পরেই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তায় ভেসে গিয়েছিল ইউনেস্কোর সোশ্যাল মিডিয়া পেজ। গর্বিত হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও আশ্রমিকরা। কিন্তু, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের এহেন পদক্ষেপে সব আনন্দই যেন মাটি৷ কয়েকদিন আগেই উপাসনা গৃহ, রবীন্দ্রভবন, কলাভবন, সঙ্গীতভবন, ছাতিমতলায় শ্বেত পাথরের ফলক বসিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেখানে খোদাই করে লেখা রয়েছে ইউনেস্কো ‘বিশ্ব ঐতিহ্যে সাইট’। নীচে লেখা রয়েছে আচার্য নরেন্দ্র মোদী ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম৷ অথচ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তকমা বহনকারী ফলকে জায়গাই পেলেন না স্বয়ং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *