রবীন্দ্র সরোবরে এবারও কি হবে ছট পুজো? কী বলেন মেয়র

কলকাতা: পরিবেশ কর্মীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল জাতীয় সরোবরে ছট জলে নেমে ছট-সহ সমস্ত ধরনের পুজো করার বিষয়ে বিধিনিষেধ জারি করেছে৷ নির্দেশ অমান্য করে জরিমানা ও তিরস্কারের মুখে পড়তে হতে পারে প্রশাসনকে৷ গ্রিন ট্রাইব্যুনালের সতর্কবার্তার পর রবীন্দ্র সরোবরে এবার ছট পুজোর অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে কি না সেই বিষয়ে মন্তব্য এড়ালেন খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম৷

3 stocks recomended

কলকাতা: পরিবেশ কর্মীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল জাতীয় সরোবরে ছট জলে নেমে ছট-সহ সমস্ত ধরনের পুজো করার বিষয়ে বিধিনিষেধ জারি করেছে৷ নির্দেশ অমান্য করে জরিমানা ও তিরস্কারের মুখে পড়তে হতে পারে প্রশাসনকে৷ গ্রিন ট্রাইব্যুনালের সতর্কবার্তার পর রবীন্দ্র সরোবরে এবার ছট পুজোর অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে কি না সেই বিষয়ে মন্তব্য এড়ালেন খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম৷

শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের তরফে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে প্রশ্ন করা হয়, এবারও কি রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজোর আয়োজন করা হবে? জবাব এড়িয়ে তিনি জানিয়েছেন, আমি সবে বিদেশ থেকে ফিরেছি৷ আলোচনা করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ তবে রবীন্দ্র সরোবরে এবারে ছট পুজোর আয়োজন হবে কি না তা নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছেন না পরিবেশ কর্মীরা৷ প্রশাসনের তরফে এখনও কোনও কিছু পরিষ্কার না হওয়ায় বাড়ছে উদ্বেগ৷

কেননা ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, রবীন্দ্র সরোবরে এবার আর ছট পুজো করার অনুমতি দেওয়া যাবে না৷ কারণ ছট পুজোর ক্ষেত্রে জলে দূষণ বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে৷ এই অভিযোগ তুলেছিলেন পরিবেশ কর্মীরা ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল মামলা দায়ের করেন৷ শুনানিতে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের তরফে কেএমডিকে নির্দেশ দেওয়া হয়৷ জানানো হয়, রবীন্দ্র সরোবর ছট পুজোর অনুমতি দেওয়া যাবে না৷ তবে, এর পরও এ নিয়ে প্রশাসনের উদ্যোগ লক্ষ্য না করায় পরিবেশকর্মীরা হতাশ৷

২০১৭ সালে গ্রিন ট্রাইবুনাল জলে নেমে ছট পুজো-সহ সমস্ত উপাসনার ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে ছিল৷ ২০১৮ সালে সরোবরের জলে নেমে ছট পুজোর আয়োজন হওয়ায় ক্ষুদ্ধ হন পরিবেশ কর্মীরা৷ এরপর শুরু হয় মামলা৷ শুনানি শেষে সম্প্রতি কেএমডিএ কর্তৃপক্ষকে ছট পুজো অনুমতি দিতে নিষেধ করেছে৷ গত বছরও বড় ধরনের জরিমানা ও তিরস্কারের মুখে পড়তে হয় প্রশাসনকে৷ কিন্তু এবারও কী হবে, তা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগের রয়েছেন পরিবেশ কর্মীরা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *