কলকাতা: মহিলাদের পিঠে রবীন্দ্র নাথের গান নিয়ে অশ্লীল শব্দ নিয়ে তোলপাড় হয়েছে বাংলা৷ পরিস্থির চাপে পড়ে পদত্যাগ করেন রবীন্দ্র ভারতীর উপাচার্য৷ কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন, তিনি এই পদত্যাগ গ্রহণ করতে পারবেন না৷ এই ঘটনার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়৷
হাওড়ার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে তিনি জানান, রবীন্দ্র ভারতীর ঘটনা পরের দিন পেপারে পড়ে স্তম্ভিত হয়ে যান৷ প্রথমত, রাজভবনে রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্যের কোনও পদত্যাগ আসেনি৷ দ্বিতীয়, এই বিষয়ে রাজ্যসরকার কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না৷ যদি কেউ এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন রাজ্যপাল অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য৷ তবে কীভাবে সরকার বলতে পারে, এই পদত্যাগ গ্রহণ করা হবে না৷
শুক্রবার রাতে পদত্যাগ করেন রবীন্দ্র ভারতীর উপাচার্য৷ শুক্রবারের পর শনিবার সব্যসাচী বসু রায়চোধুরীর সঙ্গে আরও একবার টেলিফোনে যোগাযোগ করেন পার্থ চট্টোপাধ্যা তাঁকে বলেন, ‘এই রোগের ভার একা নেবেন কেন? সূত্রের খবর, শনিবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে টেলিফোনে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। সেই আলাপচারিতার পরে সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী ইস্তফাপত্র প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন।
ক্যাম্পাসে বসন্তোৎসবের অভ্যবতার দায় নিয়ে উপাচার্য পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী। আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন উপাচার্য। প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও।রবীন্দ্রভারতী কাণ্ডে গতকালই দায় নিয়েছিলেন উপাচার্য। এরপর গত চব্বিশঘণ্টায় বিভিন্ন মহল থেকে তাঁর বিরূদ্ধেও তীব্র সমালোচনা করা হয়। অনেকে বলেন, উপাচার্যের নিয়ন্ত্রণ নেই বলেই ঐতিহ্যের ক্যাম্পাসে এই ধরনের অসভ্যতা, অশ্লীলতা হয়েছে। তারপরই ইস্তফা দিয়ে দেন উপাচার্য। শিক্ষামন্ত্রীর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও উপাচার্যকে ইস্তফাপত্র প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান।