আরজিকর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায় কে? মাথায় রাঘব বোয়ালের হাত! কার্ড ছাড়াই হাসপাতালে অবাধ যাতায়াত

কলকাতা: আরজিকর কাণ্ডে ব্রেক থ্রু। মৃত চিকিৎসকের পাশে পড়ে থাকা ছেঁড়া হেডফোন থেকেই দানা বাঁধে সন্দেহ। সেই হেডফোন কোন ফোনের সঙ্গে কানেক্ট ছিল সেই সূত্র…

Picsart 24 08 10 12 27 16 837

কলকাতা: আরজিকর কাণ্ডে ব্রেক থ্রু। মৃত চিকিৎসকের পাশে পড়ে থাকা ছেঁড়া হেডফোন থেকেই দানা বাঁধে সন্দেহ। সেই হেডফোন কোন ফোনের সঙ্গে কানেক্ট ছিল সেই সূত্র ধরেই গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয় রায়কে।

ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। শুক্রবার রাতেই আটক করা হয় তাকে। রাতভর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সকালে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হন, ধাক্কাধাক্কির সময়ই ওই হেডফোনের তার ছিঁড়ে গিয়েছিল। পুলিশ সূত্রের দাবি, জেরায় অভিযুক্ত নিজের অভিযোগ স্বীকার করেছে। ঘটনায় আর কে বা কারা জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

জানা গেছে, ধৃত সঞ্জয় রায় হাসপাতালের কোনও কর্মী নয়, বহিরাগত। কিন্তু বিভিন্ন কাজের জন্য নিয়মিত হাসপাতালের ভিতরে, চেস্ট ডিপার্টমেন্টে অবাধ যাতায়াত ছিল ধৃতের। তবে কী কারণে কেন সে ওই মহিলা চিকিত্‍সক-পড়ুয়াকে খুন করল, সেই কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। খুনের মোটিভ জানতে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। অভিযুক্ত একজন সিভিক ভলান্টিয়ার বলে খবর। ধৃতের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ সহ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় অভিযোগ এনেছে পুলিশ। শনিবার ধৃতকে আদালতে হাজির করিয়ে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইবেন তদন্তকারীরা।

কিন্তু সময় যত যাচ্ছে ততই আরজি কর কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া সঞ্জয় রায়কে নিয়ে বাড়ছে রহস্য। সূত্রে খবর, হাসপাতালের সরাসরিভাবে যুক্ত না হলেও আরজি করের আনাচে-কানাচে ছিল তাঁর অবাধ যাতায়াত। তাঁর প্রসঙ্গ উঠতেই আমতা আমতা করছেন কর্মরত নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁকে চেনেন কিনা প্রশ্ন উঠতেই পড়ছেন অস্বস্তিতে। এড়িয়ে যেতে চাইছেন গোটা বিষয়। তবে এক ছাত্রের কথায় এই ব্যক্তি হাসপাতালে ওয়েলফেয়ারের কাজ করতেন। রোগী ভর্তিতে কোনও অসুবিধা বা অন্য কোন সমস্যার দ্রুত সমাধানও করে দিতেন। আর এখানেই উঠে যাচ্ছে একগুচ্ছ প্রশ্ন? সরাসরি হাসপাতালের কর্মী না হয়েও প্ল্যাটিনাম জুবিলি বিল্ডিংয়ের মতো এলাকায় কীভাবে পৌঁছালেন তিনি? তবে কী তাঁর মাথায় হাত রয়েছে কোনও রাঘব-বোয়ালের? গোটা ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক মহলেও বাড়ছে চাপানউতোর।